ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ব্রেক্সিট ইস্যু: আবারো হারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দীর্ঘ দেন-দরবার করে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে খসড়া চুক্তি তিনি চূড়ান্ত করেছিলেন, সেটির প্রতি সমর্থন আদায়ে দ্বিতীয়বারের মতো তা গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদের সামনে পেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ৩৯১-২৪২ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সংসদে। অর্থাৎ ১৪৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে টেরিজা মে’র খসড়া চুক্তি। খবর: বিবিসি বাংলা।

এর আগে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তার প্রথম প্রয়াস চরম ব্যর্থ হয়েছিল। প্রথমবার যে ব্যবধানে তার চুক্তিটি তখন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, তার নজির ব্রিটিশ সংসদে নেই। তার নিজের রক্ষণশীল দলেরই ১১৮জন এমপি ঐ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

তারপর গত কয়েক সপ্তাহ ইইউ নেতাদের সাথে নতুন দেন-দরবার করে কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চুক্তিটি আবার সংসদে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অবাধে পণ্য এবং মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রাখা নিয়ে যে আপত্তি অনেকে করছিলেন, সেখানে ইইউ থেকে তিনি কিছু ছাড় পেয়েছেন।

বলা হচ্ছে, এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত হবে সাময়িক। তবে প্রধানমন্ত্রী বলছেন এখন এমপিরা আরেকটি ভোট দেবেন যে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত কি-না তার ওপর এবং সেটিও না হলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা উচিত কি-না।

তবে লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা। এবার নিজের রক্ষণশীল দলের ৭৫ জন তার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন যে সংখ্যা প্রথমবারের ভোটের সময় ছিল ১১৮।

এর আগে এমপিদের সতর্ক করে টেরিজা মে বলেছিলেন যে তার প্রস্তাবে সমর্থন না দিলে সেটি ব্রেক্সিট না হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ব্রেক্সিট ইস্যু: আবারো হারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে

আপডেট টাইম : ০৪:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দীর্ঘ দেন-দরবার করে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে খসড়া চুক্তি তিনি চূড়ান্ত করেছিলেন, সেটির প্রতি সমর্থন আদায়ে দ্বিতীয়বারের মতো তা গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদের সামনে পেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি ৩৯১-২৪২ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সংসদে। অর্থাৎ ১৪৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে টেরিজা মে’র খসড়া চুক্তি। খবর: বিবিসি বাংলা।

এর আগে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তার প্রথম প্রয়াস চরম ব্যর্থ হয়েছিল। প্রথমবার যে ব্যবধানে তার চুক্তিটি তখন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, তার নজির ব্রিটিশ সংসদে নেই। তার নিজের রক্ষণশীল দলেরই ১১৮জন এমপি ঐ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

তারপর গত কয়েক সপ্তাহ ইইউ নেতাদের সাথে নতুন দেন-দরবার করে কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চুক্তিটি আবার সংসদে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অবাধে পণ্য এবং মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রাখা নিয়ে যে আপত্তি অনেকে করছিলেন, সেখানে ইইউ থেকে তিনি কিছু ছাড় পেয়েছেন।

বলা হচ্ছে, এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত হবে সাময়িক। তবে প্রধানমন্ত্রী বলছেন এখন এমপিরা আরেকটি ভোট দেবেন যে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত কি-না তার ওপর এবং সেটিও না হলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা উচিত কি-না।

তবে লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা। এবার নিজের রক্ষণশীল দলের ৭৫ জন তার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন যে সংখ্যা প্রথমবারের ভোটের সময় ছিল ১১৮।

এর আগে এমপিদের সতর্ক করে টেরিজা মে বলেছিলেন যে তার প্রস্তাবে সমর্থন না দিলে সেটি ব্রেক্সিট না হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলেন তিনি।