ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

রাতে ব্যালট ভর্তি বন্ধে ইভিএম ব্যবহার করব : সিইসি

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  নির্বাচনে কারচুপিসহ পরিবেশ ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। তাই কারচুপি রোধে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আজ শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আইন আরও কঠোর হচ্ছে। এখন আমাদের আচরণবিধি তৈরি করতে হয়, নির্বাচনে আইন প্রণয়ন করতে হয়, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ দরকার। কোন দেশে আছে সেনাবাহিনী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত হন? নির্বাচন করতে যাবেন রাজনৈতিক দল যারা দেশ পরিচালনা করবেন। জনগণ দেশের মালিক, তারা ভোট দিতে যাবেন এবং আমরা যারা দায়িত্বে থাকবো, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করবো। ভোটাররা ভোট দেবেন, ভোট দিয়ে চলে যাবেন, কোনো সমস্যা থাকবে না।

নুরুল হুদা বলেন, সমাজে যখন অনিয়ম শুরু হয়, সেটিকে প্রতিহত করতে আরেকটি আইন তৈরি করতে হয়। তাই ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার সুযোগ বন্ধে ইভিএম চালু করা হবে। রাতে ব্যালট মারার জন্য কারা দায়ী, সেটি বলার সুযোগ ইসির নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, কারা সে জন্য দায়ী, নির্বাচনে কার প্রার্থী-সমর্থক কার কী প্রয়োজন, সেই শিক্ষা দেয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা কমিশনের নেই। কী কারণে এগুলো হচ্ছে তা বলারও কোনো সুযোগ নেই।

তিনি  বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তাদের কোনো পক্ষ নেই। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। কে কোন দল করে, কে কোন মত করে, কে কার আত্মীয়, কার প্রভাব বেশি, কার কি রাজনৈতিক পরিচয় এসব বিবেচ্য বিষয় হবে না। সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই দায়িত্ব। গোপনীয় কাগজ নেই, গোপনীয় সলাপরামর্শ নেই, গোপনীয় কোনো বিষয় নেই। শুধু গোপনীয় একটি কক্ষ আছে, যেখানে ভোটাররা ভোট দেবেন। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনার সবকিছু স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন। তথ্য-উপাত্ত, পরিবেশ-পরিস্থিতি সবকিছু ভোটার ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি হেরে যাবেন তার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি জিতে যাবেন তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই হেরে যাওয়া ও জিতে যাওয়ার মধ্যে আপনাদের যেন কোনো গাফিলতি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে কমিশন।

অনুষ্ঠানে ইটিআইয়ের ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

রাতে ব্যালট ভর্তি বন্ধে ইভিএম ব্যবহার করব : সিইসি

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  নির্বাচনে কারচুপিসহ পরিবেশ ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। তাই কারচুপি রোধে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক বেশি। আজ শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আইন আরও কঠোর হচ্ছে। এখন আমাদের আচরণবিধি তৈরি করতে হয়, নির্বাচনে আইন প্রণয়ন করতে হয়, আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় তারপরও সামাল দেওয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ দরকার। কোন দেশে আছে সেনাবাহিনী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত হন? নির্বাচন করতে যাবেন রাজনৈতিক দল যারা দেশ পরিচালনা করবেন। জনগণ দেশের মালিক, তারা ভোট দিতে যাবেন এবং আমরা যারা দায়িত্বে থাকবো, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করবো। ভোটাররা ভোট দেবেন, ভোট দিয়ে চলে যাবেন, কোনো সমস্যা থাকবে না।

নুরুল হুদা বলেন, সমাজে যখন অনিয়ম শুরু হয়, সেটিকে প্রতিহত করতে আরেকটি আইন তৈরি করতে হয়। তাই ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার সুযোগ বন্ধে ইভিএম চালু করা হবে। রাতে ব্যালট মারার জন্য কারা দায়ী, সেটি বলার সুযোগ ইসির নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, কারা সে জন্য দায়ী, নির্বাচনে কার প্রার্থী-সমর্থক কার কী প্রয়োজন, সেই শিক্ষা দেয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা কমিশনের নেই। কী কারণে এগুলো হচ্ছে তা বলারও কোনো সুযোগ নেই।

তিনি  বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তাদের কোনো পক্ষ নেই। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। কে কোন দল করে, কে কোন মত করে, কে কার আত্মীয়, কার প্রভাব বেশি, কার কি রাজনৈতিক পরিচয় এসব বিবেচ্য বিষয় হবে না। সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই দায়িত্ব। গোপনীয় কাগজ নেই, গোপনীয় সলাপরামর্শ নেই, গোপনীয় কোনো বিষয় নেই। শুধু গোপনীয় একটি কক্ষ আছে, যেখানে ভোটাররা ভোট দেবেন। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনার সবকিছু স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন। তথ্য-উপাত্ত, পরিবেশ-পরিস্থিতি সবকিছু ভোটার ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি হেরে যাবেন তার কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। যিনি জিতে যাবেন তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই হেরে যাওয়া ও জিতে যাওয়ার মধ্যে আপনাদের যেন কোনো গাফিলতি না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এবার পাঁচ ধাপে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে কমিশন।

অনুষ্ঠানে ইটিআইয়ের ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।