বিশেষ প্রতিনিধি সাগর
সিলেটে আপন শ্যালিকাকে ধর্ষন এবং মহিলা পাথর শ্রমিককে ধর্ষন চেষ্টা,গৃহবধুকে অপহরণসহ একাধিক সাইবার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সাংবাদিক নামধারী কে এই রায়হান হোসেন মান্না। যার হাত থেকে আপন শ্যালিকাও রেহাই পায় নাই। নিজেকে কখনো সিলেট এক্সপ্রেসের সিনিয়র রিপোর্টার,কখনো সোনালী সিলেটের রিপোর্টার আবার কখনো সিলেটের চিত্র নামক অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক, মালিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রায়হান হোসেন মান্না নামের এই যুবককে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সিলেটের সাংবাদিক ও সমাজ তথা সচেতন মহলে।
সিলেটের সাংবাদিক মহলের পরিচিত সাংবাদিকেরা এ আনকোরা কথিত সাংবাদিক নামধারী যুবককে চিনেন না বলে জানান। চাদাবাজি,ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত কথিত সাংবাদিক নামধারী এ যুবককে আইনের আশ্রয়ে নেওয়ার জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী মহল। রায়হান হোসেন মান্নার বিরুদ্ধে আপন শ্যালিকাকে তার বন্ধুকে সাথে নিয়ে অপহরন করে জোর পুর্বক ৭দিন আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগে তার আপন শাশুড়ী বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলা নং-০১. তারিখ-০৩/০১/২০১৯। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সিলেটের জাফলং এর মামার দোকানের পাশের ঝুপঝাড়ে এক নারী শ্রমিককে জোর পুর্বক ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতার স্বামী বাদি হয়ে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা দাখিল করেন। এ মামলা কতিত সাংবাদিক রায়হান হোসেন মান্না এজাহারভুক্ত আসামী। মামলা নং-৬০৮/২১।
একই বছরে নগরীর বালুচরের এক গৃহবধুকে ধর্ষন ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে এক গৃহবধু বাদী হয়ে রায়হান হোসেন মান্নাকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া সাইবার মামলায় সে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। কথিত সাংবাদিকতার নাম ভাংগিয়ে সে রাতে বেলা তামাবিল রোডে নিয়মিত চাদাবাজি করে বলে অনেক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে শাহপরান থানায় অনেকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও জিডি, দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ক্রাইম অনুসন্ধানে জানাযায়,রায়হান হোসেন মান্নার পিতার নাম হান্নান উরফে মন্নান।তার পিতা শেরপুর সাদিপুর বেগমগঞ্জ ছাতলপার গ্রামে গরুচুরি ডাকাতির কারনে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ডাকাতিতে ধরে গণধোলাই দিয়ে এলাকা থেকে বাহির করে দেয়,জীবন ফেরত দেয় ঐ এলাকায় আর না যাওয়ার স্বার্থে। মাতা: মোসা: ছমিরুন বেগম পিঃ আব্দুল গফুর গ্রামঃ আট গাও কেওয়া গ্রামের ছমিরুন কাজ করতেন। হোটেলে ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে রায়হান হোসেন মান্নাকে লেখাপড়া করিয়েছেন (৮ম) শ্রেনি পর্যন্ত তার গর্ভধারণী মা কাজ করতেন। প্রথম দিকে পিররবাজার ইছহাকের হোটেলে কাজ করতো মসালা বাটা বাসন দোয়া সহ আরো অনেক কাজ।
ঐ সময় তাহার বাবা হান্নান উরপে মন্নান ছমিরুন কে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসাবে ছমিরুনের বাড়িতেই রয়ে যায় কেননা হান্নান উরপে মন্নান তার নিজ এলাকায় কখনো যেতে পারবেনা পূর্বের চুরির দায়ে। কেওয়া পানচাইত থেকে বেশ কয়েক এক গরি করে দিয়ে ছিলেন এলাকার মানুষ ও সমাজ বাসি, অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য। বর্তমানেও হান্নান উরপে মন্নাকে মাঝে মাঝে মদ্যপান করে তালমাতাল অবস্তায় বাজারে রাস্তায় পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।