ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পাহাড়ী ঢলে নিমার্নাধীন সড়ক ভেঙ্গে লন্ডভন্ড, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি। ঠিকাদারের মাথায় হাত!

মুহাাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলের তোড়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহাম্মদনগর-মোহনগঞ্জ সড়কের গজারমারী ব্রীজ সংলগ্ন নিমার্নাধীণ সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১কোটি টাকা। এত বিশাল পরিমান ক্ষতি দেখে ঠিকাদারের মাথায় হাত!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। প্রবল বেগে আসা পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে নিমার্নাধীণ সড়কের গাইডওয়াল, ইউড্রেন,বক্স কালভার্ট,ব্লক ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। সড়কে ভরাট করা প্রায় ৫০লক্ষ টাকার বালু নিমিষেই ধুয়েমুছে গেছে।
 জানা গেছে, ১হাজার ৩শত মিটারের এই সড়কটির প্রাকলিত ব্যয় ৪কোটি ৬৬লক্ষ টাকা। গত ৬মাস আগে নিমার্ণ কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে গাইডওয়াল, মাটি ভরাট, ব্লক, ইউড্রেন ও কালভার্ট সহ প্রায় ৩কোটি টাকার কাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে ওই নিমার্নাধীন সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১কোটি টাকা। এত বিশাল ক্ষতির সন্মুখীণ হয়ে ঠিকাদারের মাথায় হাত!
এ ব্যাপারে উক্ত কাজের ঠিকাদার মো. আব্দুল মান্নান সোহান বলেন, “পাগলা নদীর গজারমারী বিলটি বছরের প্রায় বেশী ভাগ সময় পানি থাকে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অনেক কষ্ট করে আমি উক্ত কাজের প্রায় ৭৫% কাজ শেষ করি। এমতাবস্থায় আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে আমার পুরো কাজ ঢলের পানিতে ভেস্তে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। এখন সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি আমার প্রতি সু- নজর না দেন, তাহলে আমার পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতের কারণে নিমার্নাধীন সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু কাজটি আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই। তারপরেও আমি বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

পাহাড়ী ঢলে নিমার্নাধীন সড়ক ভেঙ্গে লন্ডভন্ড, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি। ঠিকাদারের মাথায় হাত!

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
মুহাাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলের তোড়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহাম্মদনগর-মোহনগঞ্জ সড়কের গজারমারী ব্রীজ সংলগ্ন নিমার্নাধীণ সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১কোটি টাকা। এত বিশাল পরিমান ক্ষতি দেখে ঠিকাদারের মাথায় হাত!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহে ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। প্রবল বেগে আসা পানির তীব্র স্রোতের আঘাতে নিমার্নাধীণ সড়কের গাইডওয়াল, ইউড্রেন,বক্স কালভার্ট,ব্লক ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। সড়কে ভরাট করা প্রায় ৫০লক্ষ টাকার বালু নিমিষেই ধুয়েমুছে গেছে।
 জানা গেছে, ১হাজার ৩শত মিটারের এই সড়কটির প্রাকলিত ব্যয় ৪কোটি ৬৬লক্ষ টাকা। গত ৬মাস আগে নিমার্ণ কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে গাইডওয়াল, মাটি ভরাট, ব্লক, ইউড্রেন ও কালভার্ট সহ প্রায় ৩কোটি টাকার কাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে ওই নিমার্নাধীন সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১কোটি টাকা। এত বিশাল ক্ষতির সন্মুখীণ হয়ে ঠিকাদারের মাথায় হাত!
এ ব্যাপারে উক্ত কাজের ঠিকাদার মো. আব্দুল মান্নান সোহান বলেন, “পাগলা নদীর গজারমারী বিলটি বছরের প্রায় বেশী ভাগ সময় পানি থাকে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে অনেক কষ্ট করে আমি উক্ত কাজের প্রায় ৭৫% কাজ শেষ করি। এমতাবস্থায় আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে আমার পুরো কাজ ঢলের পানিতে ভেস্তে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। এখন সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি আমার প্রতি সু- নজর না দেন, তাহলে আমার পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতের কারণে নিমার্নাধীন সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু কাজটি আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই। তারপরেও আমি বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।