ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

গফরগাঁওয়ে নির্মানের বছর না পেরোতেই ভেঙে পড়ল চরআলগীর স্বপ্নের সেতু

মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার: গফরগাঁওয়ে নির্মানের বছর না পেরোতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রীজ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালি গ্রামে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের ছোট শাখা নদের উপর নিমিত একটি ব্রীজ নিমার্নের এক বছর না পেরোতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের নয়াপাড়া- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার হাজিপুর বাজার সড়কে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট নদের উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এই ব্রীজটি নির্মান করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের “ গ্রামীন রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ব্রীজটি নির্মিত হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ব্রীজটি নির্মান কাজের তদারকি করে। এলাকাবাসী জানায় নির্ধারিত সময়ের পরে গত এক বছর আগে ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে পড়া তাদের স্বপ্নের ব্রীজের কাজে আশাহত হয়ে শতাদিক মানুস জড়ো হয়ে আছে। এক বছর আগে নির্মান হলেও ব্রীজের কোন নামফলক নেই । গফরগাঁও উপজেলার বোরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬২) ও হোসেনপুর উপজেলার হটরআলগী গ্রামের আব্দুল খালেক (৬৩)সহ এই এলাকার কমপক্ষে ২৫/২৬ জন বাসিন্দা জানান, গফরগাঁও , হোসেনপুর ও নান্দাইল উপজেলার কমপক্সে ৭/৮ গ্রামের প্রতিদিন শত শত মানুষকে ডিঙি নৌকায় ছোট নদীটি পারাপার করতে হতো। সরকারি বরাদ্ধে ্এখানে ব্রীজ নির্মান হওয়ার ফলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হয়। তারা অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজটি নির্মান কাজের সময় নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয় এবং সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়নি। তারা বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের কাছে বারবার এ বিষয়ে নালিশ করেছি । তারা কর্নপাত কওে নাই। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় একবছরের মাথায় ব্রীজটি ভেঙে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এখানে ব্রীজটি পুনঃনির্মান না করলে তাদের আবার মহাদুর্ভোগে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গফরগাঁওয়ে নির্মানের বছর না পেরোতেই ভেঙে পড়ল চরআলগীর স্বপ্নের সেতু

আপডেট টাইম : ০৭:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার: গফরগাঁওয়ে নির্মানের বছর না পেরোতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রীজ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালি গ্রামে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের ছোট শাখা নদের উপর নিমিত একটি ব্রীজ নিমার্নের এক বছর না পেরোতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের নয়াপাড়া- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার হাজিপুর বাজার সড়কে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট নদের উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এই ব্রীজটি নির্মান করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের “ গ্রামীন রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটে প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ব্রীজটি নির্মিত হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ব্রীজটি নির্মান কাজের তদারকি করে। এলাকাবাসী জানায় নির্ধারিত সময়ের পরে গত এক বছর আগে ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে পড়া তাদের স্বপ্নের ব্রীজের কাজে আশাহত হয়ে শতাদিক মানুস জড়ো হয়ে আছে। এক বছর আগে নির্মান হলেও ব্রীজের কোন নামফলক নেই । গফরগাঁও উপজেলার বোরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬২) ও হোসেনপুর উপজেলার হটরআলগী গ্রামের আব্দুল খালেক (৬৩)সহ এই এলাকার কমপক্ষে ২৫/২৬ জন বাসিন্দা জানান, গফরগাঁও , হোসেনপুর ও নান্দাইল উপজেলার কমপক্সে ৭/৮ গ্রামের প্রতিদিন শত শত মানুষকে ডিঙি নৌকায় ছোট নদীটি পারাপার করতে হতো। সরকারি বরাদ্ধে ্এখানে ব্রীজ নির্মান হওয়ার ফলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হয়। তারা অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজটি নির্মান কাজের সময় নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয় এবং সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়নি। তারা বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের কাছে বারবার এ বিষয়ে নালিশ করেছি । তারা কর্নপাত কওে নাই। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় একবছরের মাথায় ব্রীজটি ভেঙে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এখানে ব্রীজটি পুনঃনির্মান না করলে তাদের আবার মহাদুর্ভোগে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।