ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধায় ৩৫ বছরেও শারিরীক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের কপালে জোটেনি হুইল চেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কদমতলী বাজারের রাস্তার পাশ্বে দেখা মিলল শারীরিক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের।

জম্মের পর থেকেই হাত ও পা থেকেও নেই। দুটি হাত দিয়ে লাটির উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করছেন।
একটি হুইল চেয়ারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে জাহাঙ্গীর আলম তার আকুতি, তার চলাফেরার কাজে একটি হুইল চেয়ার অতি প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মৃত্যু হেলাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

জন্ম থেকেই জাহাঙ্গীর আলম শারীরিক প্রতিবন্ধী। চারটি হাত পা’ই তার নষ্ট। পা দুটি দিয়ে কোন ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না।

পায়ের অধিকাংশই বাঁকা, হুইল চেয়ার না থাকায় হাতে লাটি ধরে ও আঙ্গুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করে।

চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার, মাটি ঘেঁষে চলাচল করায় হাত ও পায়ে ফোসকা পড়েছে।

চোখমুখে হতাশা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলল, ছবি তোলেন কেন ? আগে কতবার ছবি উঠেছে একটা হুইল চেয়ার পাইনি। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারতাম। আমারে একটি হুইল চেয়ার দিবেন কি।

প্রতিবেশী বাবলু বলেন,জাহাঙ্গীর আলম গরীব অসহায় পরিবারের ছেলে, তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে আরোও অসহায় হয়ে পড়েছে।

এই শীতের মধ্যে সে মাটিতে চলাফেরা করেছে। ওর দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। কত কষ্ট করে চলাচল করে জাহাঙ্গীর। তার একটি হুইল চেয়ার খুব দরকার।

তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, যা আয় হয় তা দিয়ে পেটের ভাত জোটে না। কিভাবে হুইল চেয়ার কিনে দেই।

জাহাঙ্গীর আলমের খোঁজ খবর নিতে কথা হয় হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কবির রুশোর সঙ্গ,
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলম জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, হাঁটতে পারে না, সরকারি ভাতা সে পায়।
কিন্তু তার চলাচলের সুবিধার্থে একটি হুইল চেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গাইবান্ধায় ৩৫ বছরেও শারিরীক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের কপালে জোটেনি হুইল চেয়ার

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কদমতলী বাজারের রাস্তার পাশ্বে দেখা মিলল শারীরিক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলমের।

জম্মের পর থেকেই হাত ও পা থেকেও নেই। দুটি হাত দিয়ে লাটির উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করছেন।
একটি হুইল চেয়ারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে জাহাঙ্গীর আলম তার আকুতি, তার চলাফেরার কাজে একটি হুইল চেয়ার অতি প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মৃত্যু হেলাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

জন্ম থেকেই জাহাঙ্গীর আলম শারীরিক প্রতিবন্ধী। চারটি হাত পা’ই তার নষ্ট। পা দুটি দিয়ে কোন ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না।

পায়ের অধিকাংশই বাঁকা, হুইল চেয়ার না থাকায় হাতে লাটি ধরে ও আঙ্গুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করে।

চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার, মাটি ঘেঁষে চলাচল করায় হাত ও পায়ে ফোসকা পড়েছে।

চোখমুখে হতাশা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলল, ছবি তোলেন কেন ? আগে কতবার ছবি উঠেছে একটা হুইল চেয়ার পাইনি। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারতাম। আমারে একটি হুইল চেয়ার দিবেন কি।

প্রতিবেশী বাবলু বলেন,জাহাঙ্গীর আলম গরীব অসহায় পরিবারের ছেলে, তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে আরোও অসহায় হয়ে পড়েছে।

এই শীতের মধ্যে সে মাটিতে চলাফেরা করেছে। ওর দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। কত কষ্ট করে চলাচল করে জাহাঙ্গীর। তার একটি হুইল চেয়ার খুব দরকার।

তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, যা আয় হয় তা দিয়ে পেটের ভাত জোটে না। কিভাবে হুইল চেয়ার কিনে দেই।

জাহাঙ্গীর আলমের খোঁজ খবর নিতে কথা হয় হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কবির রুশোর সঙ্গ,
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলম জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, হাঁটতে পারে না, সরকারি ভাতা সে পায়।
কিন্তু তার চলাচলের সুবিধার্থে একটি হুইল চেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।