ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫

উত্তর মেসিডোনিয়ায় ট্রাক থেকে ১৪৪ বাংলাদেশি উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় দেশ উত্তর মেসিডোনিয়ার সীমান্তে একটি ট্রাক থেকে ২১১ জন অভিভাসীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ৬৩ শিশুসহ ১৪৪ জনই বাংলাদেশি। বাকিরা পাকিস্তানি নাগরিক। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, অন্যান্য দিনের ন্যায় সোমবারও গেভজেলিজা শহরের কাছের ওই সীমান্তে টহল দিচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় একটি ট্রাককে থামানো হয়। পরে সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চালককে গ্রেফতার করা হয়।

এর মধ্যে ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। যাদের মধ্যে ৬৩ জনই কম বয়সী। বাকি ৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানায় পুলিশ। পরে তাদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউরোপের এই অঞ্চলে মানবপাচার নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য দেশের ন্যায় গ্রিস-উত্তর মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে, একেবারের জরুরি বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে আসছে টহলরত প্রশাসন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বন্ধ হয়নি মানবপাচারকারীদের দৌরত্ব। এসব অভিবাসীদের অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে এরপর উত্তরের দিক থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

উত্তর মেসিডোনিয়ায় ট্রাক থেকে ১৪৪ বাংলাদেশি উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০১:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় দেশ উত্তর মেসিডোনিয়ার সীমান্তে একটি ট্রাক থেকে ২১১ জন অভিভাসীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ৬৩ শিশুসহ ১৪৪ জনই বাংলাদেশি। বাকিরা পাকিস্তানি নাগরিক। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, অন্যান্য দিনের ন্যায় সোমবারও গেভজেলিজা শহরের কাছের ওই সীমান্তে টহল দিচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় একটি ট্রাককে থামানো হয়। পরে সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি চালককে গ্রেফতার করা হয়।

এর মধ্যে ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। যাদের মধ্যে ৬৩ জনই কম বয়সী। বাকি ৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানায় পুলিশ। পরে তাদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউরোপের এই অঞ্চলে মানবপাচার নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য দেশের ন্যায় গ্রিস-উত্তর মেসিডোনিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে, একেবারের জরুরি বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিয়ে আসছে টহলরত প্রশাসন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বন্ধ হয়নি মানবপাচারকারীদের দৌরত্ব। এসব অভিবাসীদের অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে এরপর উত্তরের দিক থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন।