আলোর জগত ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে রেলপথ উন্নত করা হয়েছে। আগামীতে যাতায়াত ব্যবস্থায় আরও গতিশীলতা আনতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু করা হবে।
আরো পড়ুন : মিন্নি ৫ দিনের রিমান্ডে
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে মানুষের সেবা করাই আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য। এ জন্য সর্বোচ্চ সেবা মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।
আজ বুধবার বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তনগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বর্ধিত বিরতিহীন আন্তনগর ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বর্ধিত বিরতিহীন আন্তনগর ‘বনলতা এক্সপ্রেস’কে কোরবানি ঈদের উপহার বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাঁশিতে ফু দিয়ে ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে নতুন এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেললাইন উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নের স্বার্থে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। রেলপথ যোগাযোগের জন্য এমনই একটি মাধ্যম, যাতে অল্প সময়ে এবং কম খরচে দেশের মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন। এ ছাড়া রেলে মালামাল খুব কম খরচে পরিবহন করা যায়। এজন্য রেলের উন্নয়নে আমরা আলাদা মন্ত্রণালয় করেছি। যার নাম দেওয়া হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য নতুন আমদানি করা কোচসমূহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- বায়ো-টয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রসস্থ দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট এবং এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর হ্যাঙ্গার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙ্গার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা থাকবে।
বেনাপোল ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (৭৯৫) বুধবার ও (৭৯৬) বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে, বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।