স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে হলো ব্রাজিলিয়ান এই সুপার স্টার নেইমারকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মৌসুমের শুরুতেই তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে বসে থাকতে হবে তাকে।
মাঠের বাইরে বসে থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রেফারি নিয়ে বাজে মন্তব্য করার জের ধরে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা তাকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আরো পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় হামলার মূল হোতা জাহরান নিহত
আরো পড়ুন : যুগের প্রয়োজনেই অনলাইন পত্রিকা, অভ্যস্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
আরো পড়ুন : মালিঙ্গার বোলিং তাণ্ডবে চেন্নাইকে বড় ব্যবধানে হারাল মুম্বাই
চোটের কারণে ম্যানইউর বিপক্ষে ওই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি নেইমার। ভিআইপি বক্সে বসেই দলের হার দেখতে হয়েছে তাকে। প্রথম লেগে ম্যানইউর মাঠ থেকে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরে এলেও দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ম্যানইউর কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায়। অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকার সুবাধে পরের রাউন্ডে উঠে যায় ম্যানইউ।
ম্যাচের ইনজুরি সময় ড্যালটের শট পেনাল্টি বক্সে কিমপেম্বের হাতে লাগতেই সমীকরণ বদলে যায় ম্যাচের। ম্যানইউর আবেদনে সাড়া দিয়ে ভিএআরের সাহায্যে রেড ডেভিলসদের পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। স্পট-কিক থেকে স্কোরলাইন ৩-১ করে দলকে শেষ আটে পৌঁছে দেন মার্কাস রাশফোর্ড।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ম্যানইউর পেনাল্টিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক দানা বেঁধে ওঠে। নেইমারের মতে, ইনজুরি সময়ের ওই ঘটনায় কোনোভাবেই পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল না ম্যানইউর। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণের মধ্যেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রেফারিকে তিরস্কার করে ইনস্টাগ্রামে নেইমার লেখেন, ‘এটা অন্যায়। উয়েফা চারজন এমন অফিসিয়ালদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, যাদের ফুটবল কিংবা ভিএআর সম্পর্কে ধারণাই নেই। হাতের পিছনে বল এসে লাগলে কোন নিয়মে সেটা হ্যান্ডবল হয়?’।
শুধু তাই নয়, এরপর অফিসিয়ালদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল শব্দও প্রয়োগ করেন পিএসজি তারকা। হতাশায় আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাত-পা ছুঁড়ে অভিব্যক্তিও প্রকাশ করতে দেখা যায় নেইমারকে। এ ঘটনায় স্বভাবতই নড়েচড়ে বসে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাচ অফিসিয়ালদের তিরস্কার ও কাঠগড়ায় তোলার কারণে প্রাথমিকভাবে নেইমারকে অভিযুক্ত করে উয়েফা।
এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে নেইমারের কৃতকর্মের কারণে নিয়োগ করা হয় একজন ইনভেস্টিগেট ইন্সপেক্টর। তার তদন্তের ভিত্তিতেই প্রাথমিকভাবে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে অভিযুক্ত করে উয়েফা। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে অবশেষে তাকে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করলো।