ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

মির্জাগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

আবু জাফর এম. ছালেহ্, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

 

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয় রক্ষাকরা, দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা, দূর্ণীতি, সন্ত্রাস, বৈষম্য ও ভোটাধিকার রক্ষার্থে এবং P, R পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সুবিদখালী সরকারি কলেজ চত্ত্বরে এক গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাও. মুহা. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ গোলদারের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মুহা. হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাও. আবুল হাসান বোখারী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাস্টার মুহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাও. মুহা. নাজমুল হুদা, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাও. আ. ন. ম ইব্রাহীম, উপজেলা ইসলামী আন্দোলন (বামুক) সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গাজী জিয়াউর রহমান (উজ্জ্বল) এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুহা. শফিকুল আলম সিকদার। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়ই দূর্ণীতিগ্রস্ত দল। তারেক জিয়া দূর্ণীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল, শেখ হাসিনাও দূর্ণীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। অতএব উভয় দলই সমান এবং চোর, বাটপারের দল। তিনি বলেন স্বাধীনতার পরে তেপ্পান্ন বছর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতাসীন ছিল। সবাই বিভিন্নভাবে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, দূর্ণীতি করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বলেন- সাম্য, ন্যায় বিচার এবং মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবারই উচিৎ তাদেরকে বয়কট করে ইসলামী দলে ফিরে আসা এবং তাদের হাতে দেশের শাসনভার অর্পণ করা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাও. আবুল হাসান বোখারী দাবি করে বলেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ চোর, ডাকাত, হাইজ্যাকার, দূর্ণীতিবাজ নেই। আলেমরা শুধু মসজিদ- মাদ্রাসা নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। ইউনিয়নের মেম্বার থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট সদস্য পর্যন্ত সকল স্তরে আলেমদের বিচরণ থাকবে, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। সমাবেশে উল্লেখিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলাম, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং ভবিষ্যৎ বৈষম্য বিরোধী সুন্দর একটি ইসলামী রাষ্ট্র কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

Tag :

মির্জাগঞ্জে কলেজ শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন

মির্জাগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আবু জাফর এম. ছালেহ্, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

 

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয় রক্ষাকরা, দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা, দূর্ণীতি, সন্ত্রাস, বৈষম্য ও ভোটাধিকার রক্ষার্থে এবং P, R পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সুবিদখালী সরকারি কলেজ চত্ত্বরে এক গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাও. মুহা. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ গোলদারের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মুহা. হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাও. আবুল হাসান বোখারী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাস্টার মুহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাও. মুহা. নাজমুল হুদা, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাও. আ. ন. ম ইব্রাহীম, উপজেলা ইসলামী আন্দোলন (বামুক) সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গাজী জিয়াউর রহমান (উজ্জ্বল) এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুহা. শফিকুল আলম সিকদার। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়ই দূর্ণীতিগ্রস্ত দল। তারেক জিয়া দূর্ণীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল, শেখ হাসিনাও দূর্ণীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। অতএব উভয় দলই সমান এবং চোর, বাটপারের দল। তিনি বলেন স্বাধীনতার পরে তেপ্পান্ন বছর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতাসীন ছিল। সবাই বিভিন্নভাবে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, দূর্ণীতি করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বলেন- সাম্য, ন্যায় বিচার এবং মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবারই উচিৎ তাদেরকে বয়কট করে ইসলামী দলে ফিরে আসা এবং তাদের হাতে দেশের শাসনভার অর্পণ করা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাও. আবুল হাসান বোখারী দাবি করে বলেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ চোর, ডাকাত, হাইজ্যাকার, দূর্ণীতিবাজ নেই। আলেমরা শুধু মসজিদ- মাদ্রাসা নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। ইউনিয়নের মেম্বার থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট সদস্য পর্যন্ত সকল স্তরে আলেমদের বিচরণ থাকবে, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। সমাবেশে উল্লেখিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলাম, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং ভবিষ্যৎ বৈষম্য বিরোধী সুন্দর একটি ইসলামী রাষ্ট্র কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।