বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার সম্পর্কটি রক্তের। অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে এক করা যায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের নয়াদিল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক এক আলোচনায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিলো, পাশে আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। তবুও মাঝে মাঝে বিরোধীদলীয় অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, পারস্পরিক ভাতৃত্বের সম্পর্কে চিড় ধরাতে চায়। যদিও সেসব অপচেষ্টাকে বর্তমান সরকার সবসময়ই প্রতিহত করে এসেছে।
গত কয়েক বছরে ১৭ লাখ ভারতীয় ভিসার আবেদন হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিন দিন আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে।
নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যে সোনালী সম্পর্কের সময় চলছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। দুই দেশ সন্ত্রাস নির্মূলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে এর সুফল মিলছে বলে জানান মন্ত্রী।