প্রথমবার কফি উইথ করণের শো-তে হাজির হয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে নিঃশব্দে লড়াই করে গেছেন তিনি। পরিবারের মানুষ ব্যতীত কাউকে জানতে দেননি সেই কথা।
করোনাকালীন সময়ের কথা। করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’তে অভিনয় করার কথা ছিল শর্মিলার। আলিয়ার ঠাকুমা দামিনী চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রটির জন্য শাবানা আজমি নন, নির্মাতার প্রথম পছন্দ ছিল নবাবপত্নী ও অভিনেতা সাইফ আলী খানের মা।
কিন্তু শর্মিলা নাকি করণকে ফিরিয়ে দেন। নিজের অনুষ্ঠানের মঞ্চে অভিনেত্রীকে সে কথা স্মরণ করে করণ বলেন, ‘আপনি আমার প্রথম পছন্দ ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আপনি কাজটা করতে পারেননি, আমার আফসোস থাকবে চিরকাল।’
এর জবাবে শর্মিলা জানান, ‘তখন কোভিড মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের দেশে। প্রতিষেধক বের হয়নি। সেসময় আমরাও ভ্যাকসিনেটেড ছিলাম না। তুমি জানো, তখন আমি সদ্য ক্যানসার জয়ী হয়েছি। ফলে চাইলেও ঝুঁকি নেওয়াটা সম্ভব হয়নি, আমার পরিবারও চায়নি।’
এর আগে শর্মিলার অসুস্থতা নিয়ে কানাঘুষো শোনা গেলেও প্রকাশ্যে কোনওদিন মুখ খোলেননি অভিনেত্রী বা তার পরিবার। তবে শর্মিলার কথাতেই স্পষ্ট, এখন তিনি ক্যানসার মুক্ত। সুস্থ হওয়ার পরেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই ছবির সেটে ফিরেছেন অভিনেত্রী।
১৯৫৯ সালে কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’-এর হাত ধরে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কিশোরী শর্মিলা ঠাকুর। তার বলিউড সফর শুরু পাঁচ বছর পর। ১৯৬৪ সালে কাশ্মীর কি কলি ছবির সঙ্গে হিন্দি চলচ্চিত্র হাতেখড়ি তার। ‘আরাধনা’, ‘চুকে চুপকে’, ‘অমর প্রেম’-এর কালজয়ী ছবির অংশ থেকেছেন শর্মিলা। ১৯৬৯ সালে মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন শর্মিলা। তাদের তিন সন্তান- সাইফ, সাবা এবং সোহা।