ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন : স্বামীকে খুঁজতে হাসপাতালে স্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নিখোঁজ স্বামী খোকন মিয়াকে (৩৪) খুঁজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন তার স্ত্রী সাজন। পুড়ে যাওয়া মরদেহের পাঞ্জাবি ও শরীর দেখে তিনি অনেকটাই নিশ্চিত এটা তার স্বামী।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে স্বামীকে খুঁজতে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে আসেন তিনি।

নিখোঁজ খোকনের স্ত্রী সাজন বলেন, ভাতিজির বিয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যায়। গতকাল রাতে ট্রেনে করে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর সোমবার রাত ৯টায় তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজন মারা গেছে। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার ফোন দিয়েছি, তার মোবাইলে কল ঢুকে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি, এর মধ্যে একটি মরদেহের পাঞ্জাবী ও মুখমণ্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। আমার স্বামী সব সময় পাঞ্জাবি পরতো। তবে এখানে স্যাররা বলেছেন ডিএনএ টেস্টে ম্যাচিং না হলে আমাদের বডি দেবে না। আগামীকাল সকাল দশটায় আসতে বলেছে।

খোকনের স্ত্রীর সাজন আরও বলেন, আমিও আমার স্বামী ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইলে কাজ করি। আমার স্বামী ওই টেক্সটাইলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকতাম।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন : স্বামীকে খুঁজতে হাসপাতালে স্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:২৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নিখোঁজ স্বামী খোকন মিয়াকে (৩৪) খুঁজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন তার স্ত্রী সাজন। পুড়ে যাওয়া মরদেহের পাঞ্জাবি ও শরীর দেখে তিনি অনেকটাই নিশ্চিত এটা তার স্বামী।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে স্বামীকে খুঁজতে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে আসেন তিনি।

নিখোঁজ খোকনের স্ত্রী সাজন বলেন, ভাতিজির বিয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যায়। গতকাল রাতে ট্রেনে করে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর সোমবার রাত ৯টায় তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে চারজন মারা গেছে। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার ফোন দিয়েছি, তার মোবাইলে কল ঢুকে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি, এর মধ্যে একটি মরদেহের পাঞ্জাবী ও মুখমণ্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। আমার স্বামী সব সময় পাঞ্জাবি পরতো। তবে এখানে স্যাররা বলেছেন ডিএনএ টেস্টে ম্যাচিং না হলে আমাদের বডি দেবে না। আগামীকাল সকাল দশটায় আসতে বলেছে।

খোকনের স্ত্রীর সাজন আরও বলেন, আমিও আমার স্বামী ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইলে কাজ করি। আমার স্বামী ওই টেক্সটাইলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। আমরা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় থাকতাম।