রাজধানী ঢাকা থেকে তিন কারণে বিলম্বে ছাড়ছে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন। গতকাল ছুটির দিনে এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেশিরভাগ ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আসতে বিলম্ব হওয়া, নাশকতা আশঙ্কায় গতি কমানো, ঘন কুয়াশা ও গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলোতে পাইলট ইঞ্জিন যাওয়ায় ট্রেন বিলম্বে যাচ্ছে।
এতে সময় ক্ষেপণের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবুও রেলওয়ের পক্ষ থেকে ট্রেন আসা ও ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। সব মিলিয়ে রেলে সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ট্রেনগুলো ঢাকায় দেরিতে পৌঁছেছে বলে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নাশকতার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলোতে যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়ার আগে পাইলট ইঞ্জিন যাচ্ছে। আসতে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে। কিন্তু নানা কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার বেশিরভাগ ট্রেন কমলাপুর থেকে বিলম্বে ছেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, খুব কমসংখ্যক ট্রেন সময়মতো ছেড়েছে।
শুক্রবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের অনবোর্ড স্ক্রিনে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে দেখা যায়, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায়নি। তেমনি সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে দেখা যায়, মহুয়া কমিউটার তখনো ছাড়েনি। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১) ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি; ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার (৩৪) ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়েনি। অন্যদিকে ৩৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা ছাড়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ দেখিয়ে রাতে ট্রেনের গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রেখে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বলা হয়েছে, চলমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য পূর্বাঞ্চলের ৯টি সেকশনে নিয়মিত ট্র্যাক পেট্রোলিং করতে হবে। একইসঙ্গে রাত্রিকালীন সময়ে অর্থাৎ রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলরত ট্রেনগুলো নিয়ন্ত্রিত গতিতে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।