ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

৫২তম বিজয় উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

মহান বিজয় দিবস সমগ্র বাঙালি জাতির এক গৌরবময় দিন। প্রতি বছর এই মাহেন্দ্রক্ষণ এলেই কোটি বাঙালি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক আর সর্বসাধারণের আগমন ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুত হতে থাকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধুয়েমুছে ও বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে তোলা হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক আর সর্বসাধারণের আগমন ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুত হতে থাকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধুয়েমুছে ও বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে তোলা হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে চলছে ৫২তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিন বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও মোটরসাইকেল মহড়া। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সৌধ ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনী সৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে। আর গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সৌধ কর্তৃপক্ষ। মহান বিজয় দিবস ঘিরে প্রায় এক মাস ধরেই সৌধ এলাকায় চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ধোয়ামোছা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। গাছপালা গুলো কেটেছেটে পরিপাটি করা হয়েছে সৌধ এলাকার ১০৮ একর জায়গা। ধুয়েমুছে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো এলাকা। লাল-ইটের হেরিংবন্ডে এরই মধ্যে লেগেছে সাদা রঙের ছোঁয়া। বিভিন্ন স্থানে লাল টকটকে ফুলের টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ।

স্মৃতিসৌধ বেদির সামনের অংশে গাছ দিয়ে বানানো হয়েছে জাতীয় পতাকা। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। আলোকসজ্জার কাজও পুরোপুরি শেষ। আর কয়েক প্রহর পরেই ১৬ ডিসেম্বর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধকে সুন্দর করে তুলতে গত এক মাস ধরে কাজ করা হয়েছে। কেউ ধোয়ামোছা, কেউ গাছপালা ছাঁটা, লেক সংস্কার, রঙ করা, আলোকবাতি ও সিসিটিভি লাগানোসহ নানা কাজ করেছে। এখন কাজ শেষ পুরোপুরি শেষ। আমরা সৌধের বিভিন্ন স্থানে হরেক রকম ফুল ও পাতা বাহার গাছের টব বসিয়েছি। অনেক জায়গায় বিভিন্ন রকম ফুল লাগানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের বেদি পর্যন্ত পায়ে হাটার সব গুলো পথে লাল ইটে সাদা রঙ দিয়ে সুন্দর করা হয়েছে। এছাড়া ল্যাম্প পোস্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও কাঠের তৈরি জিনিসপত্রে রঙ করে সুন্দর করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণের আগমণ উপলক্ষে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা গোয়েন্দা নজরদারিও রাখছি। স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাসিন্দাদের সাথে কথা বলছি, যাতে বহিরাগত কেউ আসলে পুলিশকে জানায়।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

৫২তম বিজয় উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মহান বিজয় দিবস সমগ্র বাঙালি জাতির এক গৌরবময় দিন। প্রতি বছর এই মাহেন্দ্রক্ষণ এলেই কোটি বাঙালি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক আর সর্বসাধারণের আগমন ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুত হতে থাকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধুয়েমুছে ও বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে তোলা হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক আর সর্বসাধারণের আগমন ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুত হতে থাকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধুয়েমুছে ও বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে তোলা হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে চলছে ৫২তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে তিন বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও মোটরসাইকেল মহড়া। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সৌধ ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনী সৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে। আর গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সৌধ কর্তৃপক্ষ। মহান বিজয় দিবস ঘিরে প্রায় এক মাস ধরেই সৌধ এলাকায় চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ধোয়ামোছা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। গাছপালা গুলো কেটেছেটে পরিপাটি করা হয়েছে সৌধ এলাকার ১০৮ একর জায়গা। ধুয়েমুছে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো এলাকা। লাল-ইটের হেরিংবন্ডে এরই মধ্যে লেগেছে সাদা রঙের ছোঁয়া। বিভিন্ন স্থানে লাল টকটকে ফুলের টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ।

স্মৃতিসৌধ বেদির সামনের অংশে গাছ দিয়ে বানানো হয়েছে জাতীয় পতাকা। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। আলোকসজ্জার কাজও পুরোপুরি শেষ। আর কয়েক প্রহর পরেই ১৬ ডিসেম্বর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধকে সুন্দর করে তুলতে গত এক মাস ধরে কাজ করা হয়েছে। কেউ ধোয়ামোছা, কেউ গাছপালা ছাঁটা, লেক সংস্কার, রঙ করা, আলোকবাতি ও সিসিটিভি লাগানোসহ নানা কাজ করেছে। এখন কাজ শেষ পুরোপুরি শেষ। আমরা সৌধের বিভিন্ন স্থানে হরেক রকম ফুল ও পাতা বাহার গাছের টব বসিয়েছি। অনেক জায়গায় বিভিন্ন রকম ফুল লাগানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের বেদি পর্যন্ত পায়ে হাটার সব গুলো পথে লাল ইটে সাদা রঙ দিয়ে সুন্দর করা হয়েছে। এছাড়া ল্যাম্প পোস্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও কাঠের তৈরি জিনিসপত্রে রঙ করে সুন্দর করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দেশি-বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণের আগমণ উপলক্ষে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা গোয়েন্দা নজরদারিও রাখছি। স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাসিন্দাদের সাথে কথা বলছি, যাতে বহিরাগত কেউ আসলে পুলিশকে জানায়।