ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজার কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়: গুতেরেস

  • ডয়চে ভেলে
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে কোনো এলাকাই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেছেন, ‘গাজায় পুরো মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জোরালো আশঙ্কা আছে। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।’

তার ভাষায়, ‘ফিলিস্তিন তো বটেই, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সুরক্ষার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এই পরিস্থিতি যেকোনও মূল্যে এড়াতে হবে।’

২০১৭ থেকে গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিব পদে আছেন। এই প্রথম তিনি জাতিসংঘের চার্টারের আর্টিকেল ৯৯ ধারা প্রয়োগ করলেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে গাজার বিষয়টি নিয়ে এলেন।

গুতেরেস বলেছেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যুদ্ধবিরতি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এদিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের সেনারা। তবে তিনি বাড়িতে আছেন কিনা জানা যায়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘গতকালই আমি বলেছিলাম, গাজা ভূখণ্ডের যেকোনও জায়গায় আমাদের সেনা পৌঁছাতে পারবে। আজ আমাদের সেনা সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। হতেই পারে তিনি ওখানে নেই। তিনি পালিয়েও যেতে পারেন। তবে আজ না হয় কাল, তাকে ধরা হবেই।’

সিনওয়ারের বাড়ি দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরে বলে জানা গেছে। বুধবার সেখানে ইসরায়েলের সেনা খুবই তৎপর ছিল। ইসরায়েলের ধারণা, হামাসের নেতারা এখন দক্ষিণ গাজায় আছেন। কারণ, প্রথমদিকে লড়াইটা উত্তর গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল। তারা তখন দক্ষিণ গাজায় চলে এসেছেন।

সিনওয়ার দুই দশকের বেশি সময় ইসরায়েলের জেলে ছিলেন। দুই ইসরায়েলি সেনা ও তাদের চারজন ফিলিস্তিনি সঙ্গীকে খুন করার দায়ে তার শাস্তি হয়েছিল।

২০১১ সালে ইসরায়েলের সেনা জিলাদ শালিটের মুক্তির বিনিময়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তার মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। ২০১৭ সালে সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হন।

অন্যদিকে গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ নেতারা বুধবার একটি ভিডিও বৈঠক করেছেন। তাদের মত হলো, গাজায় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য সংঘর্ষবিরতি প্রয়োজন।

তারা ইরানের কাছেও আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন হিজবুল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন না করে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গাজার কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়: গুতেরেস

আপডেট টাইম : ০৬:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে কোনো এলাকাই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেছেন, ‘গাজায় পুরো মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জোরালো আশঙ্কা আছে। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।’

তার ভাষায়, ‘ফিলিস্তিন তো বটেই, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সুরক্ষার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এই পরিস্থিতি যেকোনও মূল্যে এড়াতে হবে।’

২০১৭ থেকে গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিব পদে আছেন। এই প্রথম তিনি জাতিসংঘের চার্টারের আর্টিকেল ৯৯ ধারা প্রয়োগ করলেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে গাজার বিষয়টি নিয়ে এলেন।

গুতেরেস বলেছেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যুদ্ধবিরতি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এদিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের সেনারা। তবে তিনি বাড়িতে আছেন কিনা জানা যায়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘গতকালই আমি বলেছিলাম, গাজা ভূখণ্ডের যেকোনও জায়গায় আমাদের সেনা পৌঁছাতে পারবে। আজ আমাদের সেনা সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। হতেই পারে তিনি ওখানে নেই। তিনি পালিয়েও যেতে পারেন। তবে আজ না হয় কাল, তাকে ধরা হবেই।’

সিনওয়ারের বাড়ি দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরে বলে জানা গেছে। বুধবার সেখানে ইসরায়েলের সেনা খুবই তৎপর ছিল। ইসরায়েলের ধারণা, হামাসের নেতারা এখন দক্ষিণ গাজায় আছেন। কারণ, প্রথমদিকে লড়াইটা উত্তর গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল। তারা তখন দক্ষিণ গাজায় চলে এসেছেন।

সিনওয়ার দুই দশকের বেশি সময় ইসরায়েলের জেলে ছিলেন। দুই ইসরায়েলি সেনা ও তাদের চারজন ফিলিস্তিনি সঙ্গীকে খুন করার দায়ে তার শাস্তি হয়েছিল।

২০১১ সালে ইসরায়েলের সেনা জিলাদ শালিটের মুক্তির বিনিময়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তার মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। ২০১৭ সালে সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হন।

অন্যদিকে গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ নেতারা বুধবার একটি ভিডিও বৈঠক করেছেন। তাদের মত হলো, গাজায় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য সংঘর্ষবিরতি প্রয়োজন।

তারা ইরানের কাছেও আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন হিজবুল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন না করে।