ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ধামরাই স্লোটেক্স গার্মেন্টস শ্রমিকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

ঢাকার ধামরাইয়ে স্লোটেক্স গার্মেন্টসে প্রোডাকশন কম দেয়ায় নার্গিস আক্তার(৩৫) নামে এক নারী শ্রমিকে পিটিয়ে চোখের কর্নিয়া ছিদ্র করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সুপারভাইজার মোঃ সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর নার্গিস আক্তারকে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগেও এই গার্মেন্টসে এরকম ঘটনা একাধিকবার ঘটে বলেও অভিযোগ আছে।
করোনার সময় ও কোন নিয়োম না মেনে গার্মেন্টসে প্রোডাকশন করায় বলে যানেন কয়েকজন শ্রমীক।

 

 

গতকাল দুপুরের দিকে ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্লোটেক্স গার্মেন্টসের ভিতরে এমন ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্লোটেক্স গার্মেন্টস এর এইচ আর এ্যাডমিন মোঃ দুলাল মিয়া। নার্গিস আক্তার ২০১৫সালের ১৪মার্চ থেকে সুইং অপারেটর হিসাবে ¯স্লোটেক্স গার্মেন্টসে কাজ করে আসতেছে।

ভুক্তভোগি সুত্রে জানা যায়, আমি নয় বছর যাবত ¯স্লোটেক্স গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসাবে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করায় আমাকে সিনিয়ার অপারেটের জায়গায় বসায় সেখানে কিছুক্ষণ করার পর মেশিনে সমস্য দেখা দেয়। পরে মেকানিক ডেকে মেশিন ঠিক করে কাজ শুরু করি। ঘন্টায় ৮০পিচ প্রডাকশন হয়। কিন্তু সুপাভাইজার ১০০পিচ দিতে বলে। তখন আমি বলি আমাদের ঘন্টায় ৮০পিচ দেওয়ার কথা।

পরে ঘন্টায় আমি আর বেশি করবো। এই কথা শুনে সুপাভাইজার সোহাগ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সোহাগ এক পর্যায় রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে কাঠের একটি বোর্ড ডেল মারে। বোর্ডটি আমার চোখের নিচে লেগে আমার চোখের কর্নিয়া ফুটো হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে।

এরপর আমি ফ্লোরে পরে গেলে সোহাগ আমাকে লাথি মারতে থাকে। আমার ডাকচিৎকারে পাশের লোকজন(শ্রমিক) এসে আমাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি।

এই বিষয়ে সুপারবাইজার সোহাগের সাথে দেখা করতে গেলে কারখানার কর্মকর্তারা বলেন আমরা তাকে চাকুুরিচ্যুত করেছি। কিন্তু আমরা সোহাগের সাথে দেখা ও মোবাইল নাম্বার পায়নি।

এই বিষয়ে নার্গিস আক্তারের স্বামী মোঃ হানিফ আলী বলেন, আমার স্ত্রীকে যে ভাবে আঘাত করা হয়েছে তাতে তার চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, আমি এনামে চিকিৎসা কারার ফলে আল্লাহ বাচিয়ে দিয়েছে। তবে কর্নিয়ার ছিদ্র এখনো ঠিক হয় হয়নি। আমি সুপারবাইজার সোহাগের শাস্তির দাবি করছি।

এই বিষয়ে স্লোটেক্স গার্মেন্টস এর এইচ আর এ্যাডমিন মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, সুপারভাইজার সোহাগ নার্গিস এর চোখে আঘাত করেছে ঘটনাটি সত্য। আমরা ঘটনা শুনার পর নার্গিসকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়েছি এবং নার্গিসের চিকিৎসার সকল খরচ কোম্পানী বহন করছে। অভিযুক্ত সুপারভাইজার সোহাগকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হারুণ-অর রশিদ বলেন, স্লোটেক্স গার্মেন্টসের কর্মী নির্যাতনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ধামরাই স্লোটেক্স গার্মেন্টস শ্রমিকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট টাইম : ০৪:০২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকার ধামরাইয়ে স্লোটেক্স গার্মেন্টসে প্রোডাকশন কম দেয়ায় নার্গিস আক্তার(৩৫) নামে এক নারী শ্রমিকে পিটিয়ে চোখের কর্নিয়া ছিদ্র করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সুপারভাইজার মোঃ সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর নার্গিস আক্তারকে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগেও এই গার্মেন্টসে এরকম ঘটনা একাধিকবার ঘটে বলেও অভিযোগ আছে।
করোনার সময় ও কোন নিয়োম না মেনে গার্মেন্টসে প্রোডাকশন করায় বলে যানেন কয়েকজন শ্রমীক।

 

 

গতকাল দুপুরের দিকে ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে স্লোটেক্স গার্মেন্টসের ভিতরে এমন ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্লোটেক্স গার্মেন্টস এর এইচ আর এ্যাডমিন মোঃ দুলাল মিয়া। নার্গিস আক্তার ২০১৫সালের ১৪মার্চ থেকে সুইং অপারেটর হিসাবে ¯স্লোটেক্স গার্মেন্টসে কাজ করে আসতেছে।

ভুক্তভোগি সুত্রে জানা যায়, আমি নয় বছর যাবত ¯স্লোটেক্স গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসাবে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করায় আমাকে সিনিয়ার অপারেটের জায়গায় বসায় সেখানে কিছুক্ষণ করার পর মেশিনে সমস্য দেখা দেয়। পরে মেকানিক ডেকে মেশিন ঠিক করে কাজ শুরু করি। ঘন্টায় ৮০পিচ প্রডাকশন হয়। কিন্তু সুপাভাইজার ১০০পিচ দিতে বলে। তখন আমি বলি আমাদের ঘন্টায় ৮০পিচ দেওয়ার কথা।

পরে ঘন্টায় আমি আর বেশি করবো। এই কথা শুনে সুপাভাইজার সোহাগ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সোহাগ এক পর্যায় রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে কাঠের একটি বোর্ড ডেল মারে। বোর্ডটি আমার চোখের নিচে লেগে আমার চোখের কর্নিয়া ফুটো হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে।

এরপর আমি ফ্লোরে পরে গেলে সোহাগ আমাকে লাথি মারতে থাকে। আমার ডাকচিৎকারে পাশের লোকজন(শ্রমিক) এসে আমাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি।

এই বিষয়ে সুপারবাইজার সোহাগের সাথে দেখা করতে গেলে কারখানার কর্মকর্তারা বলেন আমরা তাকে চাকুুরিচ্যুত করেছি। কিন্তু আমরা সোহাগের সাথে দেখা ও মোবাইল নাম্বার পায়নি।

এই বিষয়ে নার্গিস আক্তারের স্বামী মোঃ হানিফ আলী বলেন, আমার স্ত্রীকে যে ভাবে আঘাত করা হয়েছে তাতে তার চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, আমি এনামে চিকিৎসা কারার ফলে আল্লাহ বাচিয়ে দিয়েছে। তবে কর্নিয়ার ছিদ্র এখনো ঠিক হয় হয়নি। আমি সুপারবাইজার সোহাগের শাস্তির দাবি করছি।

এই বিষয়ে স্লোটেক্স গার্মেন্টস এর এইচ আর এ্যাডমিন মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, সুপারভাইজার সোহাগ নার্গিস এর চোখে আঘাত করেছে ঘটনাটি সত্য। আমরা ঘটনা শুনার পর নার্গিসকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়েছি এবং নার্গিসের চিকিৎসার সকল খরচ কোম্পানী বহন করছে। অভিযুক্ত সুপারভাইজার সোহাগকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হারুণ-অর রশিদ বলেন, স্লোটেক্স গার্মেন্টসের কর্মী নির্যাতনের কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।