ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে বসলো ইসি

  • অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে ‘কমিশন’ বৈঠকে বসেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আউয়াল কমিশনের ২৬তম কমিশন বৈঠকের পরই ঘোষণা করা হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল।

কমিশন বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির কক্ষে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল নিয়ে বসে আউয়াল কমিশন।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান ইসি সচিব।

ইসি সচিব বলেন, অতীতে রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দিলেও এবার সিইসির সেই ভাষণ বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অতীতে কমিশন সভা শেষে ভাষণ রেকর্ড করে প্রচার করা হতো। এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন ভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে তফসিলসহ সিইসির ভাষণ।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা এর আগে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এমন এক দিনে সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়। একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের ফলে ভরাডুবির পর ‘আগের রাতে’ ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে তাদের নির্বাচিত এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবার ২০১৪ সালের মতো একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানালেও বিবদমান পক্ষগুলো তাতে সাড়া দেয়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে বসলো ইসি

আপডেট টাইম : ০৫:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে ‘কমিশন’ বৈঠকে বসেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আউয়াল কমিশনের ২৬তম কমিশন বৈঠকের পরই ঘোষণা করা হবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল।

কমিশন বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির কক্ষে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল নিয়ে বসে আউয়াল কমিশন।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান ইসি সচিব।

ইসি সচিব বলেন, অতীতে রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দিলেও এবার সিইসির সেই ভাষণ বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অতীতে কমিশন সভা শেষে ভাষণ রেকর্ড করে প্রচার করা হতো। এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন ভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে তফসিলসহ সিইসির ভাষণ।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা এর আগে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এমন এক দিনে সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়। একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।

এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের ফলে ভরাডুবির পর ‘আগের রাতে’ ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলে। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে তাদের নির্বাচিত এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবার ২০১৪ সালের মতো একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানালেও বিবদমান পক্ষগুলো তাতে সাড়া দেয়নি।