চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পান চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। প্রায় ৭০ বছর ধরে এখানে পান চাষ হচ্ছে। পানের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় নদী তীরবর্তী হাইমচরের কৃষকরা পান চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানি শুরু হয় এখানকার পান। এতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দেয় এ খাতে। পান চাষিরাও বাপ-দাদার দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করেন। বাড়তে থাকে পানচাষি আর পানের বরজের সংখ্যা।
চাঁদপুরের রামপুর বাজার, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি উপজেলাসহ পাশের জেলা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে হাইমচরের পান চাষিদের পানের কদর বাড়তে থাকে। দ্রুত পানের চাহিদা বাড়তে থাকায় এ পেশায় এসে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন অসংখ্য যুবক। এভাবে চলতে থাকে যুগের পর যুগ। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন হাজার মানুষ।
বাংলাদেশে উৎপাদিত বাংলা, মিঠা, সাচি, কর্পুরী, গ্যাচ, নাতিয়াবাসুত, উজালী, মহানলী, চেরফুলী, ভাবনা, সন্তোষী, জাইলো, ভাওলা, ঝালি প্রভৃতি জাতের মধ্যে হাইমচর মিষ্টি ও জাল পান উল্লেখযোগ্য।
হাইমচর পানের বরজ সাধারণত দুই ধরনের জাল বরজ এবং বিল বরজ। ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন,২নং আলগী দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়ন, ৩নং আলগী দূর্গাপুর (দঃ) ইউনিয়ন, ৪নং নীলকমল ইউনিয়ন,৫নং হাইমচর ইউনিয়ন ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়ন সহ আশেপাশের এলাকায়।
সরেজমিনে একাধিক চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় পান বিক্রি হতো ১৫০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকায় আর মাঝারি পান বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। ঠিক সেই পান বর্তমান বিক্রি হচ্ছে বড় পান প্রতি বিরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও মাঝারি পান ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর ছোট ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
পান বিক্রেতা আল আমিন বলেন, বাজারে সব সময় পান-সুপারির চাহিদা থাকে। প্রতি বিড়ায় ১৫ থেকে ২০ টাকাও লাভ হয়। আমরা অন্য জায়গা থেকে পান কিনি না। শুধু হাইমচর থেকেই পান কিনে থাকি। হাইমচরে দীর্ঘদিনের পান-সুপারির খ্যাতি রয়েছে।