অবরোধের প্রথম দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১২ নভেম্বর) দিনভর দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নৃশংস হামলা চালানো হয়। এছাড়া, গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন ও সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, পরে বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটায়। সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র্যাব।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ১২ নভেম্বর ফেনী সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সদস্য আমিরুলকে হত্যার আসামি ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনী মডেল থানাধীন ইসলামপুর এলাকায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও নাশকতা মামলার আসামি ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ সদর এলাকা থেকে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাওন এবং মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ২৮ অক্টোবর ও পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৩৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।