সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডলের ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান মাহি পোল্ট্রি ফার্মে ও বাড়িতে দুই দফা হামলা চালিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছাঃ আঞ্জুমানারা বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মজিদ মন্ডল রাজনৈতিক মামলায় পলাতক থাকার সুযোগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৬০/৭০ জনের একটি দুর্বৃত্তে দল মুখোশ পড়া অবস্থায় হাতে রামদা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাড়িতে ও তার পোল্ট্রি ফার্মে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানের পোল্ট্রি ফার্মের পাহাড়াদার মশিউর রহমানকে অস্ত্র উচিয়ে ফার্মের গেট খুলে দিতে বলে। পাহাড়াদার দুর্বৃত্তদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখে ফার্ম থেকে পালিয়ে যায়। পরে দুর্বৃত্তরা ফার্মের লোহার মোটা নেট জাল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। ভাংচুরের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ২টি জেনারেটর, ৬টি পানির পাম্প, ৭০টি বৈদ্যুতিক ফ্যান, ১টি ফিড মিক্সার মেশিন, ৩টি এসএস রোল ও ৫০ বস্তা ভুট্টা, একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান ও আড়াই টন রেডিফিডসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল পিকআপ ভ্যানে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ নভেম্বর) চেয়ারম্যানের স্ত্রী থানায় অভিযোগ দিলে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও পোল্ট্রি ফার্মে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ইলেক্ট্রনিক বাল্পসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাতেও থেমে থাকেনি দুর্বৃত্তরা, তারা ফার্মের দারোয়ান মশিউরের ভাই আজিজুলকে ফোন দিয়ে মশিউরকে হত্যার হুমকীও দেন।
দারোয়ান মশিউর বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুখোশ পড়া অনেক লোক হাতে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর ও দামি দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ অবস্থায় সারারাত পালিয়ে থেকে সকালে চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগদাতা চেয়ারম্যানের স্ত্রী আঞ্জুমানারা বেগম বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তার স্বামী একটি রাজনৈতিক মামলার আসামী হওয়ায় বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। এই সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা আমার বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপয়ারে তিনি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এছাড়াও প্রতিদিন ২/৪ জন লোক এসে তার বাড়িতে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।