রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে যারা জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগাচ্ছে, তাদের অনেকের নাম আমরা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি। তারা বাংলাদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিবো।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচির মধ্যে যানবাহনে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটা গর্হিত কাজ। একটি মানুষের শেষ সম্বল একটি বাস। মানুষের জানমালের ওপর আঘাত করা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা, ককটেল নিক্ষেপ করা, এসব কাজ যারা করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জেনেছি, ২৮ তারিখ যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, আমাদের পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের মেরেছে এবং ওই দিন বাসে যারা আগুন লাগিয়েছে—তারাই পরদিন হরতাল ডেকেছে। হরতালের মধ্যেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। অবরোধ ডেকেছে, অবরোধের মধ্যে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে। এতদিন তো আগুন লাগেনি। অবরোধ ডাকার পরে বাসে আগুন কারা লাগাচ্ছে আমরা জানি। তাদের নাম আমরা পেয়েছি, ছবি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা জানি, কারা বোমা বানাচ্ছে, কারা ককটেল নিক্ষেপ করছে।