ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্য মন্ত্রী যা বললেন

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা কথায় কথায় বিবৃতি দেয়, কারো গায়ে ঘুষি পড়লে বিবৃতি দেয় এবং কেউ একটু দৌড় দিলে বিবৃতি দেয়, তারা যে এখন নিশ্চুপ আছে। সেজন্য আপনাদের বিবৃতি দিয়ে মনে করিয়ে দিতে হবে হোয়াই ইউ আর সাইলেন্ট।

বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার। তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন এবং সে চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার। আপনারা চিঠি লিখবেন এবং সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশের বিষয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বিবৃতিতে জানায়, দেশে রাজনৈতিক বিক্ষোভকালে মৃত্যু, গ্রেপ্তার এবং দমন-পীড়ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে কালকে। কিন্তু সেই বিবৃতি একটা রাজনৈতিক বিবৃতি হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের কথা নেই ওখানে, আমি পড়ে দেখেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের হামলায় ৩১ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে আপনাদের সঙ্গে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার যে ভয়াবহতা সেটি সার্বিকভাবে দেশের জনগণ জানে না। এটা আমরা যারা সচেতন তারা জানি। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এটার ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার নিশ্চিত করা হবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব হাউজের সাংবাদিক হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, নির্মমতার শিকার হয়েছে সেসব হাউজ থেকে মামলা করা উচিত। সেটিও করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। হয়ত দুই-একটি হাউজ করেছে। বাকিরা করেনি। মামলাটা হতে হবে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিভিন্ন ফোরাম থেকেও বিবৃতি আসা দরকার। তাহলে এটা নিয়ে একটা সেন্সেশন তৈরি হবে মানুষের মধ্যে, মানুষ জানবে। এ কাজগুলো করা দরকার। তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে। আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই, বদ্ধপরিকর। কিন্তু কোন একটা বিষয় ব্যবস্থা নিতে হলে প্রথমত মামলা লাগবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনা দেশবাসীকে জানতে হবে। এ ঘটনার বিপক্ষে পাবলিক অপিনিয়ন বিল্ডআপ করতে হবে। আপনারা সব কিছুর ব্যাপারে অপিনিয়ন বিল্ডআপ করেন। কিন্তু এ বিষয়টি পুরো পরিস্থিতির ক্যানভাসে হারিয়ে গেছে। সুতরাং এটিকে আরেকটু ভাইব্রেট করে নিয়ে আসতে হবে।

আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা তালিকা দিলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের চিকিৎসা সহায়তা করতে পারি। কারণ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড আছে। ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্যই সহায়তা করতে পারি। সুতরাং সেখান থেকে আমরা করতে পারব।

২৮ তারিখ কার্যত রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, আমার জানামতে আর কখনোই এমন ঘটনা ঘটেনি।

মন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির এজলাসের দরজায় বিএনপি আইনজীবীরা লাথি মেরেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হলো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসপাতালে হামলা বাংলাদেশ আর কখনো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতকাল রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা হয়েছে। এগুলো যারা করছে তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। এরা ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ডাকাত। হামলাকারীরা বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী। এটিকে নিছক রাজনীতি বলে ট্রিট করলে ভুল হবে। ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে এবং এটির দায় আমরা এড়াতে পারব না। আমি মনে করি রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে তবে রাজনীতিতে অবশ্যই প্রতিহিংসা থাকা উচিত নয়।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্য মন্ত্রী যা বললেন

আপডেট টাইম : ০৪:২২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা কথায় কথায় বিবৃতি দেয়, কারো গায়ে ঘুষি পড়লে বিবৃতি দেয় এবং কেউ একটু দৌড় দিলে বিবৃতি দেয়, তারা যে এখন নিশ্চুপ আছে। সেজন্য আপনাদের বিবৃতি দিয়ে মনে করিয়ে দিতে হবে হোয়াই ইউ আর সাইলেন্ট।

বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার। তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন এবং সে চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার। আপনারা চিঠি লিখবেন এবং সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশের বিষয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বিবৃতিতে জানায়, দেশে রাজনৈতিক বিক্ষোভকালে মৃত্যু, গ্রেপ্তার এবং দমন-পীড়ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে কালকে। কিন্তু সেই বিবৃতি একটা রাজনৈতিক বিবৃতি হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের কথা নেই ওখানে, আমি পড়ে দেখেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের হামলায় ৩১ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে আপনাদের সঙ্গে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার যে ভয়াবহতা সেটি সার্বিকভাবে দেশের জনগণ জানে না। এটা আমরা যারা সচেতন তারা জানি। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এটার ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার নিশ্চিত করা হবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব হাউজের সাংবাদিক হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, নির্মমতার শিকার হয়েছে সেসব হাউজ থেকে মামলা করা উচিত। সেটিও করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। হয়ত দুই-একটি হাউজ করেছে। বাকিরা করেনি। মামলাটা হতে হবে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিভিন্ন ফোরাম থেকেও বিবৃতি আসা দরকার। তাহলে এটা নিয়ে একটা সেন্সেশন তৈরি হবে মানুষের মধ্যে, মানুষ জানবে। এ কাজগুলো করা দরকার। তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে। আমরা ব্যবস্থা নিতে চাই, বদ্ধপরিকর। কিন্তু কোন একটা বিষয় ব্যবস্থা নিতে হলে প্রথমত মামলা লাগবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনা দেশবাসীকে জানতে হবে। এ ঘটনার বিপক্ষে পাবলিক অপিনিয়ন বিল্ডআপ করতে হবে। আপনারা সব কিছুর ব্যাপারে অপিনিয়ন বিল্ডআপ করেন। কিন্তু এ বিষয়টি পুরো পরিস্থিতির ক্যানভাসে হারিয়ে গেছে। সুতরাং এটিকে আরেকটু ভাইব্রেট করে নিয়ে আসতে হবে।

আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা তালিকা দিলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের চিকিৎসা সহায়তা করতে পারি। কারণ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড আছে। ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্যই সহায়তা করতে পারি। সুতরাং সেখান থেকে আমরা করতে পারব।

২৮ তারিখ কার্যত রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, আমার জানামতে আর কখনোই এমন ঘটনা ঘটেনি।

মন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির এজলাসের দরজায় বিএনপি আইনজীবীরা লাথি মেরেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হলো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসপাতালে হামলা বাংলাদেশ আর কখনো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতকাল রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা হয়েছে। এগুলো যারা করছে তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। এরা ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ডাকাত। হামলাকারীরা বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী। এটিকে নিছক রাজনীতি বলে ট্রিট করলে ভুল হবে। ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে এবং এটির দায় আমরা এড়াতে পারব না। আমি মনে করি রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে তবে রাজনীতিতে অবশ্যই প্রতিহিংসা থাকা উচিত নয়।