আশরাফুল আলম
প্রতি বছরের মত এবারও দিল্লির আগ্রায় অনুষ্ঠিত হলো সপ্তম জাতীয় তাজ ফোকলোর আন্তর্জাতিক কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। বিশ্বের প্রায় সাতটি দেশের শিল্পীরা তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত। বাংলাদেশ থেকে সংগীতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ওমর ফারুক। একাধারে তিনি বাংলা, হিন্দি ,আরবি, উর্দু মালওয়ারি, তামিল, নেপালি সহ বিশ্বের আরো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ভাষায় গান করতে পারেন। সংগীত পরিবেশন করেছেন দুবাই, বাহারাইন, ওমান, ইরান, নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে। আগ্রায় আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে তিনি বাংলাদেশের হয়ে বাংলা এবং হিন্দি গান পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকের মন জয় করেন। তার অসাধারণ গায়কী ও পারফরম্যান্স দেখে ম্যানেজমেন্ট ও উপস্থিত দর্শকরা ভুয়সী প্রশংসা করেন। দিল্লির জনপ্রিয় পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রচার ও টিভি চ্যানেলে সরাসরি ফারুকের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। পরিশেষে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয়ের হাত থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের শিল্পীদের এমন সাফল্য আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। টেলিফোনে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সঙ্গীতশিল্পী ফারুক ভাই দৈনিক ভোরের সময় কে বলেন, এ সাফল্য শুধু আমার একার নয় এটা সমগ্র বাংলাদেশের সাফল্য। আমি আমার সবটুকু দিয়ে ভালো গান করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আল্লাহ সহায় ছিলেন এবং আমি সুস্থ ছিলাম। তাই ভালো একটি পরিবেশনা তাদেরকে উপহার দিতে পেরেছি। অন্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন অনেক ভালো গান করে এমন শিল্পী বাংলাদেশে অনেক রয়েছে। যদি তাদেরকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা যেত তাহলে তারাও বিভিন্ন দেশে প্রোগ্রাম করে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারতো। সর্বোপরি আমি অনুরোধ করব আপনারা অভিভাবকরা প্রকৃত শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করুন এবং তাদেরকে সুযোগ করে দেন তাহলে বাংলাদেশের শিল্পীরাও অসম্ভব কে সম্ভব করার ক্ষমতা রাখে। কবে দেশে ফিরবেন প্রশ্নের জবাবে শিল্পী বলেন আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হব। সবাই আমার এবং আমাদের টিমের জন্য দোয়া করবেন।