ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর বসত ভিটা জোর পূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ।

মোঃ নুরে আলম হাওলাদার ,শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ৬ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী ইসমাঈল খানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ঐ ব্যক্তির নাম মোঃ আবুল কাশেম। সে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বিভিন্ন লঞ্চে হকারী করে বেড়ান। দিনমজুর আবুল কাশেমের নিকট সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম জানান,ছোট বেলা থেকেই আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, দুই চোখে আমি কিছু দেহিনা।কোন রকম ভাবে বিভিন্ন লঞ্চে বাচ্চাগো খেলনা বিক্রি করে এবং মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সংসার চালাই।

আমার নিজের কোন যায়গা জমিন নাই,তাই শাহ জদ্দিন শেখের বাড়ি ২৪ শতাংশ জায়গা ছিলো।সে ১৯৬৫ সনে তার বসত ভিটা ছাইড়া ভারত চইলা যায়।আমি অসহায় হওয়ায় ১৯৯০ সালে ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকিম দালাল এলাকার ময় মুরব্বিদের লইয়া ঐ সম্পত্তির ৬  শতাংশ আমারে ও মোঃ করিম বেপারী কে ৬ শতাংশ, আর ১২ শতাংশ ইসমাইল খা কে বুঝাইয়া দেন থাকার জন্য।

কিন্তু আমার কোন টাহা পয়সা না থাকার কারণে বসবাস করার মতো ঘর ছিলোনা, অনেক কস্ট কইরা পোলাপান লইয়া রইছি।এহন আমি মানুষের সহযোগিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোকা শিকদার এর কাছে গিয়া আমার বিষয় সব কওয়ার পরে হে আমারে ঘর করার জন্য ২,০০,০০০ /-  টাকা সাহায্য করেন।এই টাকা দিয়া আমি পাকা ঘর করতে গেলে ইসমাঈল খা আমারে অসহায় পাইয়া এহন ঐ যায়গার নকল কাগজ কইরা আনছে যার জে.এল নং ৯৪,খতিয়ান নং ৪৬৬ এর দাগের ২০০২ সালের ২৪ শতাংশ জমির একটা জাল দলিল কইরা আমারে ঘর করতে দেয়না।আমি আমার যায়গায় পিলার করে ফেলছি।এহন কয় যদি ঘর তোলছ তাইলে টাহা দিতে অইবো,নইলে যায়গা ছাইরা চইলা যাবি, এই যায়গা আমার।

এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা করেছে কিনা জানতে চাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম জানান, মামলা করছি মামলা চলতাছে।কিন্তু ইসমাইল খা মানুষেরে টাহা খাওয়াইছে এহন আমি কোন বিচার পাইনা।

এ বিষয়ে ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর দালাল বলেন,আমার ইউনিয়নে এরকম একটা ঘটনা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম আমার নিকট এসেছিলো বিষয় টি নিয়ে আমি চেষ্টা করছি সঠিক তদন্ত করে সমাধান দেওয়ার জন্য। তবে যায়গা জমিনের বিষয় তো একটু সময় লাগবে।যেহেতু এটা নিয়ে মামলা চলিতেছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সেলিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,যায়গা টি নিয়ে মামলা চলিতেছে আদালত আমাদের কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন,আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিয়েছি রায় আসবে মহামান্য কোর্ট থেকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর বসত ভিটা জোর পূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ১১:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

মোঃ নুরে আলম হাওলাদার ,শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ৬ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী ইসমাঈল খানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ঐ ব্যক্তির নাম মোঃ আবুল কাশেম। সে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বিভিন্ন লঞ্চে হকারী করে বেড়ান। দিনমজুর আবুল কাশেমের নিকট সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কাশেম জানান,ছোট বেলা থেকেই আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, দুই চোখে আমি কিছু দেহিনা।কোন রকম ভাবে বিভিন্ন লঞ্চে বাচ্চাগো খেলনা বিক্রি করে এবং মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সংসার চালাই।

আমার নিজের কোন যায়গা জমিন নাই,তাই শাহ জদ্দিন শেখের বাড়ি ২৪ শতাংশ জায়গা ছিলো।সে ১৯৬৫ সনে তার বসত ভিটা ছাইড়া ভারত চইলা যায়।আমি অসহায় হওয়ায় ১৯৯০ সালে ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকিম দালাল এলাকার ময় মুরব্বিদের লইয়া ঐ সম্পত্তির ৬  শতাংশ আমারে ও মোঃ করিম বেপারী কে ৬ শতাংশ, আর ১২ শতাংশ ইসমাইল খা কে বুঝাইয়া দেন থাকার জন্য।

কিন্তু আমার কোন টাহা পয়সা না থাকার কারণে বসবাস করার মতো ঘর ছিলোনা, অনেক কস্ট কইরা পোলাপান লইয়া রইছি।এহন আমি মানুষের সহযোগিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোকা শিকদার এর কাছে গিয়া আমার বিষয় সব কওয়ার পরে হে আমারে ঘর করার জন্য ২,০০,০০০ /-  টাকা সাহায্য করেন।এই টাকা দিয়া আমি পাকা ঘর করতে গেলে ইসমাঈল খা আমারে অসহায় পাইয়া এহন ঐ যায়গার নকল কাগজ কইরা আনছে যার জে.এল নং ৯৪,খতিয়ান নং ৪৬৬ এর দাগের ২০০২ সালের ২৪ শতাংশ জমির একটা জাল দলিল কইরা আমারে ঘর করতে দেয়না।আমি আমার যায়গায় পিলার করে ফেলছি।এহন কয় যদি ঘর তোলছ তাইলে টাহা দিতে অইবো,নইলে যায়গা ছাইরা চইলা যাবি, এই যায়গা আমার।

এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা করেছে কিনা জানতে চাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম জানান, মামলা করছি মামলা চলতাছে।কিন্তু ইসমাইল খা মানুষেরে টাহা খাওয়াইছে এহন আমি কোন বিচার পাইনা।

এ বিষয়ে ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর দালাল বলেন,আমার ইউনিয়নে এরকম একটা ঘটনা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম আমার নিকট এসেছিলো বিষয় টি নিয়ে আমি চেষ্টা করছি সঠিক তদন্ত করে সমাধান দেওয়ার জন্য। তবে যায়গা জমিনের বিষয় তো একটু সময় লাগবে।যেহেতু এটা নিয়ে মামলা চলিতেছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সেলিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,যায়গা টি নিয়ে মামলা চলিতেছে আদালত আমাদের কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন,আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিয়েছি রায় আসবে মহামান্য কোর্ট থেকে।