ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতারনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলার পাশ্বর্বতি উপজেলার কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের বজলু রহমান হাওলাদারের ছেলে মেহেন্দ্রীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মধ্য আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাচান মাহমুদ সায়েদ তার প্রতিবন্ধী চাচা সহিদুল রহমান হাওলাদারে সাথে প্রতারনা করে ৮০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান আমার ছেলে মুনমুন গত ২৫ জানুয়ারী প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আটো রিক্সাযোগে আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে আসে।তখন সহিদুল হাওলাদারের ছেলে মুনমুন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বেড়িয়ে আসার পর বলে এখানে ফরম নেই হিজলায় যেতে হবে।পথিমধ্যে প্রতারক সায়েদ মাষ্টার ঐ আটো রিক্সায় উঠে আটোরিক্সাটি হিজলা উপজেলা খুন্না বাজারের ব্যবসায়ী ও মাষ্টার মিজান এর ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়।সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন মেহেন্দ্রীগঞ্জ উপজেলার দলিল লেখক নুরু কমিশনার সাথে একজন অপরিচিত লোক বসা আছে।কিছুক্ষন পর ঐ রুমে প্রবেশ করে আন্ধারমানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন।তখন সহিদুল হাওলাদারকে একটি দলিলে স্বাক্ষর দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানায়।তখন তার ভাতিজা সায়েদ মাষ্টার তার গলায় ছুরি ধরে বলে স্বাক্ষর না করলে হত্যার হুমকি দেয়।তখন তিনি ভয়ে অচেতন হয়ে পরে।কিছুক্ষন পরে তার জ্ঞান ফিরলে জোড়পূর্বক দলিলে স্বাক্ষর নেয়।এ বিষয়ে সায়েদ মাষ্টার মাষ্টার জানায় সহিদুল হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুনমুন তার নিকট থেকে ৮০ শতাংশ জমি বিক্রির কথা বলে আমার কাছ থেকে এক বছর পূর্বে ১ লক্ষ টাকা নেয় এবং বাকি টাকা দলিল দিয়ে নিয়েছে।মেহেন্দ্রীগঞ্জ দলিল না হয়ে হিজলায় করা হয়েছে জানতে তিনি বলেন কমিশন দলিল যে কোনো জায়গায় হতে পারে।তিনি আরো বলেন সহিদুল হাওলাদার অন্যন্য ছেলেদের ভয়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আমাকে বললে আমি হিজলায় ঐ নিধারন করি।মেহেন্দ্রীগঞ্জের দলিল লেখক নুরু কমিশনার জানায় বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় আমরা কমিশন দলিল করতে পারি।যেখানে দলিল হয়েছে সেই ভবনের মালিক মাষ্টার মিজানুর রহমান জানায় আমাকে সায়েদ মাষ্টার ফোন করে বলে আপনার বাসায় মেহমান নিয়ে যাব।তখন আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে রুমের দরজা খুলে দিতে বলি।পরে জানতে পারি সায়েদ মাষ্টার আমার বাসায় তার চাচা থেকে একটি জমির দলিল সম্পাদন করেছে।স্থানীয় লিটন হাওলাদার জানায় সায়েদ মাষ্টার প্রতারনা করে চাচা সহিদুল ইসলামের জমি দলিল করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় সহিদুল হাওলাদারের বড় ছেলে জসিম হাওলাদার আমাকে নিয়ে কাজিরহাট থানায় একটি অভিযোগ করতে যায়।তাই শুনে সায়েদ মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রকাশ্যে মারপিট করে।এ বিষয়ে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্কীকার করে তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরার্মশ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগটি তিনি কোনো আমলে নেয়নি জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

প্রতারনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীর জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৮:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হিজলা প্রতিনিধি

 

বরিশালের হিজলা উপজেলার পাশ্বর্বতি উপজেলার কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের বজলু রহমান হাওলাদারের ছেলে মেহেন্দ্রীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মধ্য আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাচান মাহমুদ সায়েদ তার প্রতিবন্ধী চাচা সহিদুল রহমান হাওলাদারে সাথে প্রতারনা করে ৮০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান আমার ছেলে মুনমুন গত ২৫ জানুয়ারী প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আটো রিক্সাযোগে আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে আসে।তখন সহিদুল হাওলাদারের ছেলে মুনমুন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বেড়িয়ে আসার পর বলে এখানে ফরম নেই হিজলায় যেতে হবে।পথিমধ্যে প্রতারক সায়েদ মাষ্টার ঐ আটো রিক্সায় উঠে আটোরিক্সাটি হিজলা উপজেলা খুন্না বাজারের ব্যবসায়ী ও মাষ্টার মিজান এর ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়।সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন মেহেন্দ্রীগঞ্জ উপজেলার দলিল লেখক নুরু কমিশনার সাথে একজন অপরিচিত লোক বসা আছে।কিছুক্ষন পর ঐ রুমে প্রবেশ করে আন্ধারমানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন।তখন সহিদুল হাওলাদারকে একটি দলিলে স্বাক্ষর দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানায়।তখন তার ভাতিজা সায়েদ মাষ্টার তার গলায় ছুরি ধরে বলে স্বাক্ষর না করলে হত্যার হুমকি দেয়।তখন তিনি ভয়ে অচেতন হয়ে পরে।কিছুক্ষন পরে তার জ্ঞান ফিরলে জোড়পূর্বক দলিলে স্বাক্ষর নেয়।এ বিষয়ে সায়েদ মাষ্টার মাষ্টার জানায় সহিদুল হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুনমুন তার নিকট থেকে ৮০ শতাংশ জমি বিক্রির কথা বলে আমার কাছ থেকে এক বছর পূর্বে ১ লক্ষ টাকা নেয় এবং বাকি টাকা দলিল দিয়ে নিয়েছে।মেহেন্দ্রীগঞ্জ দলিল না হয়ে হিজলায় করা হয়েছে জানতে তিনি বলেন কমিশন দলিল যে কোনো জায়গায় হতে পারে।তিনি আরো বলেন সহিদুল হাওলাদার অন্যন্য ছেলেদের ভয়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আমাকে বললে আমি হিজলায় ঐ নিধারন করি।মেহেন্দ্রীগঞ্জের দলিল লেখক নুরু কমিশনার জানায় বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় আমরা কমিশন দলিল করতে পারি।যেখানে দলিল হয়েছে সেই ভবনের মালিক মাষ্টার মিজানুর রহমান জানায় আমাকে সায়েদ মাষ্টার ফোন করে বলে আপনার বাসায় মেহমান নিয়ে যাব।তখন আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে রুমের দরজা খুলে দিতে বলি।পরে জানতে পারি সায়েদ মাষ্টার আমার বাসায় তার চাচা থেকে একটি জমির দলিল সম্পাদন করেছে।স্থানীয় লিটন হাওলাদার জানায় সায়েদ মাষ্টার প্রতারনা করে চাচা সহিদুল ইসলামের জমি দলিল করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় সহিদুল হাওলাদারের বড় ছেলে জসিম হাওলাদার আমাকে নিয়ে কাজিরহাট থানায় একটি অভিযোগ করতে যায়।তাই শুনে সায়েদ মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রকাশ্যে মারপিট করে।এ বিষয়ে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্কীকার করে তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরার্মশ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগটি তিনি কোনো আমলে নেয়নি জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।