শরীয়তপুরে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান পারভেজকে মারধরের মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মারধরের শিকার রোকনুজ্জামান পারভেজ বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এটিএন বাংলা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রোকনুজ্জামান পারভেজ শরীয়তপুর পৌরসভার পালং এলাকায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় ২০-২৫ জন ব্যক্তি এক নারীকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করছিলেন। এক পর্যায়ে তার দোকানে আশ্রয় নেন ওই নারী। তখন সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ।
ঘটনাটি ভিডিও করার সময় পারভেজকে কিল-ঘুষি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন তারা। এ সময় দোকান থেকে নগদ টাকাও লুট করা হয়। হামলাকারীরা শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন রোকনুজ্জামান পারভেজ।
রোকনুজ্জামান পারভেজ বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় উত্তর পালং এলাকার নাজমুল হাসান (২৫), নাইমুল হাসান নিলয় (২২),হৃদয় (২৫), রিফাতসহ (২৩) ১০-১৫ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে বলেন, রোকনুজ্জামান পারভেজের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। পুলিশ এখনও কেন আসামিদের গ্রেফতার করছে না তা রহস্যজনক।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় রোকনুজ্জামান পারভেজকে পুলিশই উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।