নাহিদা আক্তার পপি, বিশেষ প্রতিনিধি ক্রাইম
দীর্ঘদিন পর সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ট্যুর অপরেটররা। ১ সেপ্টেম্বর না হলেও প্রথম সপ্তাহে অধিকাংশ অপারেটর পর্যটকদের নিয়ে সুন্দরবন যাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম কচি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ। কখন সুন্দরবন উন্মুক্ত করা হবে তা নিয়ে আমরা দ্বিধাদন্ধে ছিলাম। ভ্রমণ পিপাসুরা অগ্রিম যোগাযোগ করছে। বন বিভাগের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ইতিপূর্বে অগ্রিম বুকিং ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। রবিবার বন বিভাগের সিদ্ধান্তের পর ৩ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের করমজলের জন্য একটি বুকিং পেয়েছেন আজ। এখন পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা। ক্রমাগত বুকিং আসছে।
ট্যুর অপারেটর এ্যাসেসিয়েশন অফ সুন্দরবন, খুলনার সভাপতি মঈনুল ইসলাম জামাদ্দার জানান, অধিকাংশ ট্যুর অপারেটর প্রথমদিনে বনে যেতে পারবেন না। তার প্রধান কারণ হলো পূর্ব প্রস্ততি। অনেকেই বুকিং দিয়েছে। ট্যুর অপারেটররা জানতেন না যে ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। না জানার কারণে অনেক বুকিং তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়লে তাদের লস হবে। প্রথমদিনে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়বেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আযম ডেভিড জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক পর্যটক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কোন পর্যটক নেই। যা আসছে তা নিয়ে বনের উদ্দেশে গেলে চালান থাকবে না।
সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজামাল পাপুল জানান, কিছু কিছু অপারেটর অগ্রিম বুকিং পেয়েছে। তারা পর্যটকদের নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর বনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। আগামী অক্টেবর থেকে ট্যুরের সিজন শুরু হবে। মূলত: তখন থেকে চার মাস পর্যটকদের চাপ থাকবে। পর্যটকদের চাপ কম থাকায় অধিকাংশ অপারেটর ১ সেপ্টেম্বর বনের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে না বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।