নাহিদা আক্তার পপি, বিশেষ প্রতিনিধি ক্রাইম
হবিগঞ্জে নমুনা দেওয়ার তিন সপ্তাহ পরেও রিপোর্ট পাননি দিবা রায় নামে এক নারী। তেইশ দিন পর জানা গেল তিনি করোনা আক্রান্ত।
ততক্ষণে সবশেষ। তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগে হার মানলেন মৃত্যুর কাছে।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলাকে দায়ী করছে মৃতের পরিবার।
সোমবার (৩০ আগস্ট) ওই নারী করোনা পজিটিভ ফলাফল জানিয়ে তার মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
অথচ রোববার (২৯ আগস্ট) সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
দিবা রায় হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা ও নিখিল রঞ্জন দেবের স্ত্রী।
তিনি স্থানীয় রামচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকা ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা দেন দিবা রায়। এরপর রিপোর্টের অপেক্ষায় দিন কাটতে থাকে। এরই মধ্যে তার তীব্র শ্বাসকষ্টসহ আরও সমস্যা বাড়তে থাকে। পরে ১২ আগস্ট তাকে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে গত রোববার তিনি মারা যান।
মৃত নারীর আত্মীয় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় থেকে দিবা রায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তীব্র শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিলেটে নেওয়া হয়। সেখানে ১৬ দিন তিনি আইসিউতে ছিলেন। চিকিৎসায় খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যদি সময়মতো করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতো তাহলে আগে থেকেই তার চিকিৎসা শুরু করা যেত। ফুসফুস অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিকিৎসা দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। এজন্য তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে সিলেটে শাবিপ্রবির ল্যাবের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগের সম্পর্কের অবনতি ঘটনায় বেশ কিছু রিপোর্ট আসতে দেরি হয়েছে।