ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মুজিব চেতনা ভূলন্ঠিত: অসন্তোস মাদারীপুর মূল ধারার আওয়ামীলীগের

স্টাফ রিপোর্টার

 

১৫ই আগস্ট বাংঙ্গালী জাতির জন্য যেমন জাতীয় শোক তেমনি ইতিহাসের পাতায় এক কলঙ্কিত অধ্যায়। যেদিন বাংঙ্গালী জাতি হারিয়েছিল এক স্বপ্ন প্রেমী মানুষকে। যে নিজেকে নিয়ে কখনই স্বপ্ন দেখেনি। তিনি এই বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন বুনতেন একটি ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত সয়ং সম্পূর্ণ সোনার বাংলা গড়ার।
সেই মহামানব স্বাধীন একটি পতাকার জন্য জীবনের যৌবন বিসর্জন দিয়েছেন কারাগারে।

পাকিস্তানি সৈরাচারদের জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি সংগ্রাম করেছেন এই জাতির নিজস্ব একটি পতাকা ও পৃথিবীর বুকে স্বাধীন একটি মানচিত্রের জন্য।
যে পতাকাতলে থাকবেনা কোন বৈষম্য, যে মানচিত্রে থাকবে না কোন জুলুমকারীর রাজত্ব। আজ আমাদের একটি নিজস্ব পতাকা একটি স্বাধীন মানচিত্র আছে। এ স্বাধীনতা বাংলার স্বাধীনতাকামী আপামর জনতার সিংহ পুরুষ, যার বজ্র কণ্ঠে সকল বাংঙ্গালী ঘর ছেড়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলো, যার ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারনেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হানাদার বাহিনী সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। সেই থেকে এই রাত বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো রাত হিসেবে গণ্য।

প্রতিটি বাংঙ্গালীর হৃদয়ে আগস্ট মানেই দুঃখ, ব্যাথা, বেদনার মাস।
তাই ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাংঙ্গালী জাতির কাছে তুলে ধরা ও তার রূহের মাগফিরাত কামনায় সারাদেশে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এই দিনটি অন্যকাউকে আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করার জন্য নয়।
এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।

মাদারীপুরে আওয়ামীলীগের চির প্রতিদন্দী দুইটি পক্ষ বিরাজমান।

১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মাদারীপুর আগমনে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আসিবুর রহমান খান, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রুবেল খান সহ জেলা পর্যায়ের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেত্রী বৃন্দ।
স্যোসাল মিডিয়াতে বিষয়টি ভাইরাল হলে অনেকেই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান। বিষয়টি ১৫ই আগস্টের শোককে রাজনৈতিক পর্যায়ে হেয় করার সামিল বলে মনে করেন মূলধারার রাজপথের সৈনিকরা।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা যুবলীগ এর নেতৃত্বে স্থানীয়রা দৈনিক আলোর জগতকে জানান, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ ঘটনা মুজিব আদর্শের সৈনিকেরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে।

জাতীয় শোক ১৫ই আগস্টে যারা এমন কুরুচিপূর্ণ কাজ করেছে তারা মুজিব আদর্শকে ভূলন্ঠিত করতে চায়। মুজিব চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই ১৫ই আগস্টের মত জাতীয় শোকের দিনে এমন কাজটি করেছে। এরা মুজিব আদর্শকে অন্তরে লালন করে না।

১৫ই আগস্ট বাংঙ্গালী জাতির জাতীয় শোকের দিনে সর্বকালের স্রেষ্ট বাংঙ্গালী বঙ্গবন্ধু ব্যতীত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অন্য কারও জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা কুরুচিপূর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও তুলে ধরা হয়েছে বলে তারা জানান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মুজিব চেতনা ভূলন্ঠিত: অসন্তোস মাদারীপুর মূল ধারার আওয়ামীলীগের

আপডেট টাইম : ০৬:২০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার

 

১৫ই আগস্ট বাংঙ্গালী জাতির জন্য যেমন জাতীয় শোক তেমনি ইতিহাসের পাতায় এক কলঙ্কিত অধ্যায়। যেদিন বাংঙ্গালী জাতি হারিয়েছিল এক স্বপ্ন প্রেমী মানুষকে। যে নিজেকে নিয়ে কখনই স্বপ্ন দেখেনি। তিনি এই বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন বুনতেন একটি ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত সয়ং সম্পূর্ণ সোনার বাংলা গড়ার।
সেই মহামানব স্বাধীন একটি পতাকার জন্য জীবনের যৌবন বিসর্জন দিয়েছেন কারাগারে।

পাকিস্তানি সৈরাচারদের জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি সংগ্রাম করেছেন এই জাতির নিজস্ব একটি পতাকা ও পৃথিবীর বুকে স্বাধীন একটি মানচিত্রের জন্য।
যে পতাকাতলে থাকবেনা কোন বৈষম্য, যে মানচিত্রে থাকবে না কোন জুলুমকারীর রাজত্ব। আজ আমাদের একটি নিজস্ব পতাকা একটি স্বাধীন মানচিত্র আছে। এ স্বাধীনতা বাংলার স্বাধীনতাকামী আপামর জনতার সিংহ পুরুষ, যার বজ্র কণ্ঠে সকল বাংঙ্গালী ঘর ছেড়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলো, যার ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারনেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হানাদার বাহিনী সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। সেই থেকে এই রাত বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো রাত হিসেবে গণ্য।

প্রতিটি বাংঙ্গালীর হৃদয়ে আগস্ট মানেই দুঃখ, ব্যাথা, বেদনার মাস।
তাই ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাংঙ্গালী জাতির কাছে তুলে ধরা ও তার রূহের মাগফিরাত কামনায় সারাদেশে দোয়া মোনাজাত করা হয়। এই দিনটি অন্যকাউকে আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করার জন্য নয়।
এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।

মাদারীপুরে আওয়ামীলীগের চির প্রতিদন্দী দুইটি পক্ষ বিরাজমান।

১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের মাদারীপুর আগমনে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আসিবুর রহমান খান, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রুবেল খান সহ জেলা পর্যায়ের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেত্রী বৃন্দ।
স্যোসাল মিডিয়াতে বিষয়টি ভাইরাল হলে অনেকেই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান। বিষয়টি ১৫ই আগস্টের শোককে রাজনৈতিক পর্যায়ে হেয় করার সামিল বলে মনে করেন মূলধারার রাজপথের সৈনিকরা।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা যুবলীগ এর নেতৃত্বে স্থানীয়রা দৈনিক আলোর জগতকে জানান, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ ঘটনা মুজিব আদর্শের সৈনিকেরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে।

জাতীয় শোক ১৫ই আগস্টে যারা এমন কুরুচিপূর্ণ কাজ করেছে তারা মুজিব আদর্শকে ভূলন্ঠিত করতে চায়। মুজিব চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই ১৫ই আগস্টের মত জাতীয় শোকের দিনে এমন কাজটি করেছে। এরা মুজিব আদর্শকে অন্তরে লালন করে না।

১৫ই আগস্ট বাংঙ্গালী জাতির জাতীয় শোকের দিনে সর্বকালের স্রেষ্ট বাংঙ্গালী বঙ্গবন্ধু ব্যতীত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অন্য কারও জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা কুরুচিপূর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও তুলে ধরা হয়েছে বলে তারা জানান।