ঢাকা-সুরেশ্বর-ওয়াপদা চন্ডিপুর নৌরুটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এম.ভি গাজী এক্সপ্রেস-৪ লঞ্চের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে এসে শরীয়তপুরের কাঁচিকাটা এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়। এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। বিকেলে সুরেশ্বর ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময়ও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা লঞ্চের যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল রাতে সুরেশ্বর থেকে ঢাকা ১৫০ টাকা দিয়ে গেলাম। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৪৮ টাকা। এখন ঢাকা থেকে সুরেশ্বর যাচ্ছি গাজী লঞ্চ এক প্রকার জোর করেই ভাড়া নিল ১৭০ টাকা। একই ঘাটের লঞ্চ দুই রকম ভাড়া ব্যাপারটা এক ধরনের জুলুম।
কুদ্দুস ব্যাপারী নামে লঞ্চের আরেক যাত্রী বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছি। প্রতিজনের ভাড়া ১৪৮ টাকা। দুজনের ভাড়া হয় ২৯৬ টাকা। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে ৩৪০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম বলেন, ভুল করে আইডি কার্ড ঢাকায় রেখে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিচয় দিলেও ১০ টাকাও কম রাখেনি।
এ বিষয়ে এমভি গাজী এক্সপ্রেস-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার বাবু মিয়া বলেন, মালিকের সিদ্ধান্তেই যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা ও ১৭০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়েছে। আমি এ লঞ্চের কর্মচারী আমাদের মালিকের কথা মতোই কাজ করতে হয়।
লঞ্চের মালিক বাবু গাজী বলেন, এ রুটে ভাড়া ১৫০ টাকাই। আমি অতিরিক্ত টাকা নিতে বলিনি। প্রথমে ১৭০ টাকা নেয়া হলেও পরে ১৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদউজ্জামান বলেন, ব্যাপারটি আমি জানলাম। খোঁজ নিচ্ছি ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।