পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- দুদু মিয়া ব্যাপারী, জহিরুল ইসলাম ও নান্নু পাঠওয়ারীর ফল দোকান; মুন্সী মোল্লা, আলমাস মুন্সী, নোয়াব হাংলাদার, লতিফ, সোহেল, বাচ্চু মাহমুদ ও খোকন গাজীর মুদি দোকান; আমানুল্লাহ ও সিরাজের ওষুধ দোকান, খাজা মোল্লার কসমেটিকস, নুরে আলম বালার কাপড়, গোপালের স্বর্ণ, সুরেশের দর্জি ও আদু মোল্লা ইলেক্ট্রনিকস দোকান।
শরীয়তপুরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত ৪টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস সদর ও ডামুড্যা উপজেলার তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে এ আগুন লেগেছে।’
বালার বাজার কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারের ১৭টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। গভীর রাতে আগুন লাগার কারণে কোনো মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। আমরা সরকারের কাছে সহায়তা চাই।’
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিতু মিয়া ব্যাপারী বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাজারের ১৭টি দোকানে আগুন লেগেছে—এমন খবর জানিয়ে ভোরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী খবর দেন। বিষয়টি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমকে জানানো হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি ব্যবসায়ীকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।