গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা গ্রামের নিহত সৈয়দ মাসুম আহম্মেদের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।ঈদের দিন ২১ শে জুলাই রাতের শেষভাগে ২২ শে জুলাই প্রথম প্রহরে এই ঘটনা ঘটে।হামলার স্বীকার হয়ে মারাত্নকভাবে আহত হয় সৈয়দ মাসুম আহম্মেদ পরে তিনি মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।তিনি শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপার্থী ছিলেন।তিনি ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পাস করা একজন প্রকৌশলি ছিলেন।তিনি বেড়াইদেরচালা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। শ্রীপুর পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুল্লা গণমাধ্যমকে জানান যে ঈদের শেষে শ্রীপুরের মাওনা বাজারে পশুর চামড়া বিক্রি করে মাহাবুব ওই রাতে সাড়ে তিনটার দিকে তার সহকর্মী জোবায়ের মোটরসাইকেলে সৈয়দ মাসুম আহম্মেদকে নিজ বাসায় নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসে।সৈয়দ মাসুম আহম্মেদ বাসায় আসলে তার কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পায়। ঘরে ঢুকতেই দুর্বৃত্তকারীরা তার উপর আতর্কিত হামলা চালায়।তার মাথায় কুপিয়ে তাকে গুরতর ভাবে আহত করে এবং চলে যায়।এসময় তার বাড়ির অন্যান্য ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো ছিল। তার চিৎকার শোনে আশেপাশের লোকজন এসে বাড়ির অন্যান্য ঘরের দরজা খোলে দিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্হানীয় ক্লিনিকে পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্হার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে পাঠায়। কাউন্সিলর বলেন তিনি শ্রীপুর উপজেলার মেধাবী ছাত্রনেতা ছিলেন।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন জানান হামলার ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে নিহতের চাচা বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার পর থেকেই হামলাকরীদের চিন্হিত করার তৎপরতা শুরু করেছে।