গরুগুলোর বাজার মূল্য ৩০ লক্ষাধিক টাকা। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে যাচ্ছিল ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
এছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় থাকা আরও অনেক গরু আহত অবস্থায় দেখা গেছে। গরু নিয়ে নিরুপায় ব্যবসায়ীদের অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। নিজেদের সম্বল ও পুঁজি বাঁচাতে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও দ্রুত পারাপারের দাবি জানিয়েছে তারা।
সরেজমিন ঘুরে ও ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় থাকা আরও অনেক গরু আহত অবস্থায় দেখা যায়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হঠাৎ করেই এ রুটে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬টি ফেরি চলমান থাকলেও গাড়ির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঘাট থেকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। সঙ্গে প্রখর রোদে তীব্র গরম। এমতাবস্থায় কোরবানির পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে খামারি ও ব্যবসায়ীরা। হার্টফেল করে মারা যাচ্ছে অনেক গরু। এছাড়া যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি চলছেই।
ফরিদপুর থেকে গরু নিয়ে আসা আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, আমাদের এলাকার বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনে চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঘাটে যানজটে পড়ে তীব্র গরমে ১টি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একদিন হয়ে গেল এসেছি। কিন্তু পার হতে পারছি না।
কাঁদতে কাঁদতে মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এর আগে ঘাটে ২০টি গরু মরা গেছে। আমার গরুগুলোও অসুস্থ হয়ে গেছে। আমাদের জন্য পারলে কিছু করেন। গরু মারা গেলে আমরাও বাঁচব না।
বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, আমাদের ৬টি ফেরি চলমান আছে, আরও একটি আসতেছে। শুনেছি এ পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষমাণ ২০টি গরু মারা গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। গরুর গাড়ি, কাঁচামালের গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই এ ভোগান্তি কমে যাবে।