ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গুলশান-বনানীতে ম্যাসাজ পার্লারের নামে দেহ ব্যবসা

 টিপু দুলাল, ঢাকা
ঢাকার গুলশান-বনানীতে ম্যাসাজ পার্লার আদলে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। একটি সিন্ডিকেট  বিভিন্ন বহুতল ভবনের ফ্যাট ভাড়া নিয়ে এসব পার্লার গড়ে তুলে অসামাজিক বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় মেঘলা  এবং ১৭/এ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাড়িতে ইভা নামের এক ব্যক্তির নরী বাণিজ্যর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এদিকে  গুলশানে আরএম সেন্টারের তৃতীয় তলায় প্রিন্সের হোয়াইট বিউটি কেয়ার এবং গুলশান-২ এইচ হোটেলের চতুর্থ তলায় মস্তফার অধরা বিউটি পার্লার ও ১৩১ নম্বর সড়কে খুশবু রেস্টোরেন্টের উপরে সুলতানার স্মার্ট বিউটি কেয়ারসহ ৯২ নম্বর সড়কে বাহারের  একটি অবৈধ ম্যাসাজ পার্লার রয়েছে।  পার্লারগুলোর ভিতরে পরিপাটিভাবে সাজানো গোছানো ১০ থেকে ১২ টির অধিক কক্ষ রয়েছে। তবে বাহির থেকে অনুমান কার খুবই কঠিন যে ভিতরে কি হচ্ছে।
এক অসাধু ব্যবসায়ী জানান, খদ্দের ছাড়া পার্লারের ভিতরে কাউকে প্রবেশ নিষেধ। তবে পার্লারের রিসিভসনের কাউন্টারে ৫ হাজার টাকা জমা দিলেই মিলবে ভিতরে ঠোকার অনুমোদন। কিন্তু তাদের নির্ধারিত সময়ে ৫০০০ হাজার টাকা হলেও খদ্দেরদের চাহিদামত পুরন করতে দিতে হয় দ্বীগুন। পাশাপাশি থেমে নেই মাদক সেবন কিংবা মাদক বাণিজ্য।
এবিষয়ে পার্লার মালিকদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তারা জানায়, যা ইচ্ছা লিখেন। এবিষয়ে পুলিশ কিংবা সব মহলই জানে। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি। তবে ম্যাসাজ পার্লারে দেহ ব্যবসার বিষয় অবগত করিয়ে বনানী থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখতেছি। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বনানী থানা পুলিশ।
অন্যদিকে গুলশান থানা পুলিশকে অনুমোদনহীন স্পা ও ম্যাসাজ পার্লারের বিষয়ে জানানো হলে, পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ওসি স্যার এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাইনা অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানব পাচার দমন আইনে মামলাও দিয়েছে।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গুলশান-বনানীতে ম্যাসাজ পার্লারের নামে দেহ ব্যবসা

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
 টিপু দুলাল, ঢাকা
ঢাকার গুলশান-বনানীতে ম্যাসাজ পার্লার আদলে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। একটি সিন্ডিকেট  বিভিন্ন বহুতল ভবনের ফ্যাট ভাড়া নিয়ে এসব পার্লার গড়ে তুলে অসামাজিক বাণিজ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় মেঘলা  এবং ১৭/এ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাড়িতে ইভা নামের এক ব্যক্তির নরী বাণিজ্যর তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এদিকে  গুলশানে আরএম সেন্টারের তৃতীয় তলায় প্রিন্সের হোয়াইট বিউটি কেয়ার এবং গুলশান-২ এইচ হোটেলের চতুর্থ তলায় মস্তফার অধরা বিউটি পার্লার ও ১৩১ নম্বর সড়কে খুশবু রেস্টোরেন্টের উপরে সুলতানার স্মার্ট বিউটি কেয়ারসহ ৯২ নম্বর সড়কে বাহারের  একটি অবৈধ ম্যাসাজ পার্লার রয়েছে।  পার্লারগুলোর ভিতরে পরিপাটিভাবে সাজানো গোছানো ১০ থেকে ১২ টির অধিক কক্ষ রয়েছে। তবে বাহির থেকে অনুমান কার খুবই কঠিন যে ভিতরে কি হচ্ছে।
এক অসাধু ব্যবসায়ী জানান, খদ্দের ছাড়া পার্লারের ভিতরে কাউকে প্রবেশ নিষেধ। তবে পার্লারের রিসিভসনের কাউন্টারে ৫ হাজার টাকা জমা দিলেই মিলবে ভিতরে ঠোকার অনুমোদন। কিন্তু তাদের নির্ধারিত সময়ে ৫০০০ হাজার টাকা হলেও খদ্দেরদের চাহিদামত পুরন করতে দিতে হয় দ্বীগুন। পাশাপাশি থেমে নেই মাদক সেবন কিংবা মাদক বাণিজ্য।
এবিষয়ে পার্লার মালিকদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তারা জানায়, যা ইচ্ছা লিখেন। এবিষয়ে পুলিশ কিংবা সব মহলই জানে। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি। তবে ম্যাসাজ পার্লারে দেহ ব্যবসার বিষয় অবগত করিয়ে বনানী থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখতেছি। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বনানী থানা পুলিশ।
অন্যদিকে গুলশান থানা পুলিশকে অনুমোদনহীন স্পা ও ম্যাসাজ পার্লারের বিষয়ে জানানো হলে, পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ওসি স্যার এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাইনা অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানব পাচার দমন আইনে মামলাও দিয়েছে।