গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং (৭) এর পর রাতের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে দারলআমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা গ্রামের সাত বছর বয়সী শিশুটি আরও কয়েকজন শিশুর সাথে খেলা করছিল। এসময় আশেপাশে কেউ না থাকায় প্রতিবেশী মোসলেম বেপারী (৬৫) নামে ঐ ব্যক্তি শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে পরনের লুঙ্গি খুলে তাহার যৌনাঙ্গে হাত দেয় পরবর্তীতে যৌন চাহিদা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শিশুটির প্যান্ট খুলে গোপনাঙ্গে হাত দেয়।
শিশুটির চিৎকারে বাবা মা সহ স্থানীয় প্রতিবেশীগন দৌড়ে গিয়ে শিশুটি কে উদ্ধার করে এ সময় অভিযুক্ত মোসলেম বেপারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটির মা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার সাথেসাথেই ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শরীফ আহমেদের নির্দেশে ঐ রাতেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তালুকদার অভিযুক্ত মোসলেম বেপারী কে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে দারুলআমান ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের সবুজ মেম্বারের স্ত্রী নাহার বানু জানায় আসামি মোসলেম বেপারী মাঝে মাঝে তার এলাকার গরীব, অসহায় মহিলাদের কে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাবে দিত।এবং ছোট ছোট শিশুরা তার বাগানের মধ্যেদিয়ে মক্তবে যাওয়ার সময় তাদেরকে অশ্লীল কথা বলত এবং কুপ্রস্তাব দিত। শিশুরা তাদের মা-বাবার নিকট বিচার দিলে তারা বিশ্বাস করতো না।কিন্তু ঐ দিন তাকে হাতে নাতে ধরে জনগনই প্রথম প্রহার করে। তিনি বলেন, আমি এ চরিত্রহীনের কঠিন বিচার দাবি করছি।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে শিশুটির মা মঙ্গলবার রাতে ডামুড্যা থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসি পরবর্তীতে শরীয়তপুর জেলা কোর্টে প্রেরণ করি।