আফজাল হোসেন মিজান,রাজাপুর (ঝালকাঠি)
ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি মাঠেই খেলাধুলা করে।
শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ নষ্ট হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলমাঠ ‘লাগিয়ে’ (ভাড়া) দিয়েছেন। স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা এখানে ফুটবল খেলে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু এখন আর খেলাধুলার সে সুযোগ রইল না।
ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মোশারফ আলী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি চাষ করছেন।
এই বিষয়ে মোশারফ আলী হাওলাদার বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে সরকার দলের স্থানীয় এক নেতা স্কুল মাঠ চাষ করার অনুমতি নিয়েছেন।
তবে প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক টাকার বিনিময়ে মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না; সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি করেছে।”
ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলিম আল মাসদ বলেন, “এখন তো স্কুল বন্ধ, স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরি করলে এর সুবিধা কোনো না কোনোভাবে সবাই ভোগ করবে।”
দক্ষিণ রাজাপুরের ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের মাঠেও একই অবস্থা। এখানে বীজতলা তৈরির অনুমতি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই মাঠে ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। এখন চারা বড় হতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে ফিরোজা মজিদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলের দপ্তরি আমার অনুমতি নিয়েই বীজতলা তৈরি করেছে। এখন স্কুল বন্ধ তাই অনুমতি দিয়েছি।”
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন দৈনিক আলোর জগতকে বলেন, স্কুলের খেলার মাঠে চাষাবাদ কিংবা বীজতলা তৈরির কোনো বিধান নেই। যদি কেউ করে থাকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।