ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান এর উপর হামলা

ai

নুরে আলম হাওলাদার, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভােজেশ্বর ইউনিয়নের ২৮ নং ভােজেশ্বর মৌজায়  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প পরিদর্শন কালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান এর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলায় আহাদি হাসানসহ আরো পাচঁ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
আটক কৃতরা হলেন খোকল ছৈয়াল, বোরহান গোরাপী, সোহেল তালুকদার, লিটন গোরাপী, আব্দুল রব বেপারী।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোজেশ্বরে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে ৩২ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জায়গা টি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে চাষবাস করত। সরকারি ঘর করার লক্ষে জায়গা গুলো দখলে নিয়ে ঘর তৈরি করছিলেন। সেই ঘর দেখার জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকতা আহাদ হোসেন যান। হঠাৎ প্রকল্পের জায়গায় স্থানীয় সাগর গোরামী ও রুবেল গোরামীর নেতৃত্বে নারী পুরুষের বিশাল একটি দল রামলা, বল্লব, ছেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিত ভাবে তােদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রকল্প কর্কতার মাথা ফেটে রক্তপাত হয় ও শরীরের কয়েকটি স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া আরোও ৫ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ কপ্লেক্সে ভর্তি করে।
প্রকল্পে ঘরের কাজ করা মিস্তিরি রাকিব বলেন, দুপুরে উপজেলা থেকে লোক আসে ঘর দেখার জন্য। এর আগে গতকাল ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় কয়েকজন। তখন আমরা কাজ বন্ধ করে দেই। আজ কর্মকর্তারা আসলে তাদের ওপর কিছু বোজে ওটার আগে ই হামলা চালানো হয়।
নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদী হাসান জানায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৩২টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছিল ওই এলাকায়। জমিটি খাশ খতিয়ান ভুক্ত। স্থানীয় মৃত সদর গোরাপী নামে  এক ব্যাক্তির ছেলেরা  জমিটি ব্যাক্তি মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন সময় কাজে বাধা দিয়ে আসছিল। গত কাল আবার কাজ বন্ধ করে দেয় মৃত সদর গোরাপীর ছেলেরা। আজ শুক্রবার  আমি  ও আমার সহযোগী কর্মচারীবৃন্দসহ গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে  স্থানীয় ভূমিদস্যুরা রামলা, বল্লব, ছেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে রক্তপাত হয় ও শরীরের কয়েকটি স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ কপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক ব্যাপারী বলেন, স্থানীয় জয়নাল গোড়াপী সহ কয়েকজন ব্যক্তি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি জমি মালিকানা দাবি করছেন। আজ ভূমিদস্যুরা সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেছেন।এটি তদন্ত করে সঠিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান এর উপর হামলা

আপডেট টাইম : ১১:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
নুরে আলম হাওলাদার, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভােজেশ্বর ইউনিয়নের ২৮ নং ভােজেশ্বর মৌজায়  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প পরিদর্শন কালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হাসান এর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলায় আহাদি হাসানসহ আরো পাচঁ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।
আটক কৃতরা হলেন খোকল ছৈয়াল, বোরহান গোরাপী, সোহেল তালুকদার, লিটন গোরাপী, আব্দুল রব বেপারী।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোজেশ্বরে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে ৩২ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জায়গা টি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে চাষবাস করত। সরকারি ঘর করার লক্ষে জায়গা গুলো দখলে নিয়ে ঘর তৈরি করছিলেন। সেই ঘর দেখার জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকতা আহাদ হোসেন যান। হঠাৎ প্রকল্পের জায়গায় স্থানীয় সাগর গোরামী ও রুবেল গোরামীর নেতৃত্বে নারী পুরুষের বিশাল একটি দল রামলা, বল্লব, ছেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিত ভাবে তােদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রকল্প কর্কতার মাথা ফেটে রক্তপাত হয় ও শরীরের কয়েকটি স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া আরোও ৫ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ কপ্লেক্সে ভর্তি করে।
প্রকল্পে ঘরের কাজ করা মিস্তিরি রাকিব বলেন, দুপুরে উপজেলা থেকে লোক আসে ঘর দেখার জন্য। এর আগে গতকাল ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় কয়েকজন। তখন আমরা কাজ বন্ধ করে দেই। আজ কর্মকর্তারা আসলে তাদের ওপর কিছু বোজে ওটার আগে ই হামলা চালানো হয়।
নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদী হাসান জানায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৩২টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছিল ওই এলাকায়। জমিটি খাশ খতিয়ান ভুক্ত। স্থানীয় মৃত সদর গোরাপী নামে  এক ব্যাক্তির ছেলেরা  জমিটি ব্যাক্তি মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন সময় কাজে বাধা দিয়ে আসছিল। গত কাল আবার কাজ বন্ধ করে দেয় মৃত সদর গোরাপীর ছেলেরা। আজ শুক্রবার  আমি  ও আমার সহযোগী কর্মচারীবৃন্দসহ গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে  স্থানীয় ভূমিদস্যুরা রামলা, বল্লব, ছেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে রক্তপাত হয় ও শরীরের কয়েকটি স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ কপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক ব্যাপারী বলেন, স্থানীয় জয়নাল গোড়াপী সহ কয়েকজন ব্যক্তি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি জমি মালিকানা দাবি করছেন। আজ ভূমিদস্যুরা সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেছেন।এটি তদন্ত করে সঠিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।