ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইগাতীতে ইউএনও’র নির্দেশ মানছেন না সরকারি জমি জবরদখলকারি

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি :
ইউএনও’র নির্দেশ মানছেন না সরকারি জমি জবরদখলকারি আবু বকর সিদ্দিক উরফে তোতা মিয়া। তোতা মিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মৃত জাহাতুল্যা মন্ডলের ছেলে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিক পাইকুড়া বাজারের সরকারি জমির  উপর একটি দ্বিতল পাকাঘর নির্মান করেন। এছাড়া ওই পাকা ঘরের পাশে বিল্লাল হোসেন,আজাহার আলী,নজরুল ইসলাম,রুস্তম আলী,লাল মিয়া,সেকান্দর আলী,দুলু মিয়া,মাজহারুল মাস্টার,হাসমত আলী,ছাবর আলী,বাচ্চু মিয়া ও আইয়ুব আলী মাস্টারও সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে। সম্প্রতি পাইকুড়া বাজার উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে। ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) রুবেল মাহমুদ ওইসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।  উক্ত নির্দেশে ১২ জন অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারি তাদের স্থাপনা  স্বেচ্ছায় সরিয়ে নিলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের নির্দেশ মানছেন না আবু বকর সিদ্দিক ওরফে তোতা।  গত ১৭এপ্রিল ওই ১২ ব্যক্তি তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেন। কিন্ত আবু বকর সিদ্দিক এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার স্থাপনাটি সরিয়ে নেননি। নানান অজুহাত খোঁজছেন আবু বকর সিদ্দিক। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ পদোন্নতি ও বদলি জনিত কারণে রমজানের পর তিনি চলে গেলে তার স্থাপনাটি হয়তো আর সরিয়ে নিতে হবে না।  আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পাশে আরো অবৈধ স্থাপনা আছে, সেগুলো সরিয়ে নেয়ার পর আমার স্থাপনা সরিয়ে নিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, আজ ২৬ এপ্রিল সোমবার আবু বকর সিদ্দিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়া না হলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ঝিনাইগাতীতে ইউএনও’র নির্দেশ মানছেন না সরকারি জমি জবরদখলকারি

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি :
ইউএনও’র নির্দেশ মানছেন না সরকারি জমি জবরদখলকারি আবু বকর সিদ্দিক উরফে তোতা মিয়া। তোতা মিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মৃত জাহাতুল্যা মন্ডলের ছেলে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিক পাইকুড়া বাজারের সরকারি জমির  উপর একটি দ্বিতল পাকাঘর নির্মান করেন। এছাড়া ওই পাকা ঘরের পাশে বিল্লাল হোসেন,আজাহার আলী,নজরুল ইসলাম,রুস্তম আলী,লাল মিয়া,সেকান্দর আলী,দুলু মিয়া,মাজহারুল মাস্টার,হাসমত আলী,ছাবর আলী,বাচ্চু মিয়া ও আইয়ুব আলী মাস্টারও সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে। সম্প্রতি পাইকুড়া বাজার উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে। ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) রুবেল মাহমুদ ওইসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।  উক্ত নির্দেশে ১২ জন অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারি তাদের স্থাপনা  স্বেচ্ছায় সরিয়ে নিলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের নির্দেশ মানছেন না আবু বকর সিদ্দিক ওরফে তোতা।  গত ১৭এপ্রিল ওই ১২ ব্যক্তি তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেন। কিন্ত আবু বকর সিদ্দিক এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার স্থাপনাটি সরিয়ে নেননি। নানান অজুহাত খোঁজছেন আবু বকর সিদ্দিক। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ পদোন্নতি ও বদলি জনিত কারণে রমজানের পর তিনি চলে গেলে তার স্থাপনাটি হয়তো আর সরিয়ে নিতে হবে না।  আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পাশে আরো অবৈধ স্থাপনা আছে, সেগুলো সরিয়ে নেয়ার পর আমার স্থাপনা সরিয়ে নিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, আজ ২৬ এপ্রিল সোমবার আবু বকর সিদ্দিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেয়া না হলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।