ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অভিনেতা সালেহ আহমেদের দাফন সম্পন্ন

ফাইল ছবি

বিনোদন  ডেস্ক:    উত্তরখান সরকারি কবরস্থানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দাফন করা হলো গুণি অভিনেতা সালেহ আহমেদকে। এর আগে বাদ মাগরিব উত্তরখান জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সালেহ আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অভিনেতার মেয়ে লিনা এবং মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু এ খবর নিশ্চিত করেন।

সালেহ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। সাত বছর আগে তিনি ব্রেন স্টোক করেন। পাশাপাশি তার ফুসফুস প্রদাহজনিত সমস্যাসহ বাতরোগ ছিল। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতে ও হাটতে পারতেন না। পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন অ্যাপোলো হাসপাতালে।

কিন্তু জীবনের শেষ বেলায় এসে অর্থ সংকটে পড়েন অভিনেতা সালেহ আহমেদ। চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার এই দুরাবস্থায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই টাকা দিয়ে পরে চিকিৎসা শুরু করেন।

সপ্তাহখানেক আগে সালেহ আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সালেহ আহমেদের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের আগে বিটিভিতে নিয়মিত অভিনয় করতেন।

১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটক এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার দাপুটে পদচারণা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।

গুণী এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত তিন বছর বিছানায় শুয়েই কাটছিলো তার জীবন। সালেহ আহমেদের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে মোটা অংকের টাকা। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে শুরু করে তার পরিবার। তারপর এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের শুরুতে ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অভিনেতা সালেহ আহমেদের দাফন সম্পন্ন

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

বিনোদন  ডেস্ক:    উত্তরখান সরকারি কবরস্থানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দাফন করা হলো গুণি অভিনেতা সালেহ আহমেদকে। এর আগে বাদ মাগরিব উত্তরখান জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সালেহ আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অভিনেতার মেয়ে লিনা এবং মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু এ খবর নিশ্চিত করেন।

সালেহ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। সাত বছর আগে তিনি ব্রেন স্টোক করেন। পাশাপাশি তার ফুসফুস প্রদাহজনিত সমস্যাসহ বাতরোগ ছিল। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতে ও হাটতে পারতেন না। পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন অ্যাপোলো হাসপাতালে।

কিন্তু জীবনের শেষ বেলায় এসে অর্থ সংকটে পড়েন অভিনেতা সালেহ আহমেদ। চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার এই দুরাবস্থায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই টাকা দিয়ে পরে চিকিৎসা শুরু করেন।

সপ্তাহখানেক আগে সালেহ আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সালেহ আহমেদের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের আগে বিটিভিতে নিয়মিত অভিনয় করতেন।

১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটক এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার দাপুটে পদচারণা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।

গুণী এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত তিন বছর বিছানায় শুয়েই কাটছিলো তার জীবন। সালেহ আহমেদের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে মোটা অংকের টাকা। ২০১১ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে শুরু করে তার পরিবার। তারপর এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের শুরুতে ২৫ লাখ টাকা দেন সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে।