নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীকে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বাদ আসর জায়ানের জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।
বনানী করবস্থান প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে একটু বাম দিকে এগিয়ে গেলেই জায়ানের কবর। মাত্র আট বছর বয়সী ছোট্ট জায়ান চৌধুরী এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। জায়ানের জানাজায় তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী অংশ নেন।
আরো পড়ুন : ঈদের পর শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর
এর আগে শেখ সেলিমের নাতি জায়ানের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার বাদ আসর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জায়ানের জানাজার আগে তার নানা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম বলেন, শনিবার বাদ আসর বনানীর এই মাঠেই কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, জায়ানের জন্য যে সহানুভুতি আপনারা দেখিয়েছেন তা আমাদের পরম পাওয়া। আমার মেয়ে যেন পুত্র হারানোর শোক দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে এবং তার স্বামী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে সেই দোয়া করবেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে কলম্বো থেকে ঢাকায় আনা হয় জায়ানের মরদেহ। দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে জায়ানের মরদেহবাহী শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ।
বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন জায়ানের নানা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি জায়ানের মরদেহ গ্রহণ করেন। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্য, স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেষবারের মতো দেখতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর বাসায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেখ সেলিমসহ সব আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শ্রীলঙ্কায় গত রবিবারের (২১ এপ্রিল) ভয়াবহ সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছে। এদেরই একজন জায়ান। বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও মা শেখ সোনিয়ার সঙ্গে আরেক ভাইসহ বেড়াতে গিয়েছিল জায়ান। ওই হামলায় আহত হন মশিউল হক চৌধুরীও। তিনি এখনো কলম্বোয় চিকিৎসাধীন।