ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নায়ক ফেরদৌস

বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ ওপার বাংলার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে চলছে নানা রকমের সমালোচনা। এতে করে বেশ বিপাকেই পড়েছেন দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। হুট করেই সে দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার ফলে ভিসা বাতিলসহ মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে।

শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে ফেরদৌস কিছু না বললেও তোপের মুখে পড়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেতা। অবশেষে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

তিনি বলেছেন, ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করাটা তার ভুল ছিল। আর এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

ফেরদৌসের পাঠানো বিবৃতিটি বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘আমি চিত্রনায়ক ফেরদৌস। অভিনয় শিল্প আমার একমাত্র নেশা ও পেশা। অভিনয় শিল্পের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষী সকলের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, আমি দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয়। দুই বঙ্গের মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনাচারে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আবার ভারত বহু কৃষ্টি-কালচারের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ।

১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারতের অবদান আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। পাশাপাশি ভারতের জনগণের ত্যাগ-তিতিক্ষা আমাদের চিরঋণী করে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এখানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক আমার বন্ধু। যাদের সঙ্গে আমি সবসময়ে হৃদ্যতা অনুভব করি। এজন্য বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে আমি এখানে চলে আসি।

ভারতে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের এই নির্বাচন পূর্বের মতো সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই সময়ে আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। সকলের মতো আমারও আগ্রহের জায়গায় ছিল এই নির্বাচন। ফলে ভাবাবাগে তাড়িত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী প্রচারণায় আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করি। এটা পূর্বপরিকল্পনার কোন অংশ ছিল না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নায়ক ফেরদৌস

আপডেট টাইম : ১২:৩০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯
বিনোদন ডেস্ক :  বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ ওপার বাংলার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে চলছে নানা রকমের সমালোচনা। এতে করে বেশ বিপাকেই পড়েছেন দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। হুট করেই সে দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার ফলে ভিসা বাতিলসহ মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে।

শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে ফেরদৌস কিছু না বললেও তোপের মুখে পড়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেতা। অবশেষে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

তিনি বলেছেন, ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করাটা তার ভুল ছিল। আর এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

ফেরদৌসের পাঠানো বিবৃতিটি বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘আমি চিত্রনায়ক ফেরদৌস। অভিনয় শিল্প আমার একমাত্র নেশা ও পেশা। অভিনয় শিল্পের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষী সকলের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, আমি দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয়। দুই বঙ্গের মানুষের সংস্কৃতি ও জীবনাচারে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আবার ভারত বহু কৃষ্টি-কালচারের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ।

১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারতের অবদান আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। পাশাপাশি ভারতের জনগণের ত্যাগ-তিতিক্ষা আমাদের চিরঋণী করে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এখানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক আমার বন্ধু। যাদের সঙ্গে আমি সবসময়ে হৃদ্যতা অনুভব করি। এজন্য বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে আমি এখানে চলে আসি।

ভারতে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের এই নির্বাচন পূর্বের মতো সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই সময়ে আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। সকলের মতো আমারও আগ্রহের জায়গায় ছিল এই নির্বাচন। ফলে ভাবাবাগে তাড়িত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী প্রচারণায় আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করি। এটা পূর্বপরিকল্পনার কোন অংশ ছিল না।