আলোর জগত ডেস্ক: রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ জন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
দিলীপ কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উদ্ধার কাজ চলছে। ভবনে কেউ জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে কি না, তা অনুসন্ধানে উদ্ধার টিম কাজ করে যাচ্ছে।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদ নিহত ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), মামুন (৩৬), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মনির (৫০) ও মাকসুদুর (৩৬)।
বৃহস্পতিবার পৌনে বেলা ১টার দিকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ে ওই ভবনে আগুন লাগার পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। উদ্ধারকাজে যোগ দেয় নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। দুটি হেলিকপ্টার দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। আটকা পড়াদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করা হয়।
দুপুর ১টার আগে বনানীর ২৭ নম্বর রোডের ২২ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনের ভেতরে লোকজন আটকা পড়ে। দুপুর ২টার দিকে ভেতর থেকে একজন নারী ফেসবুক লাইভে এসে তাদেরকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ভিডিওতে শোনা যায় এক নারীর কণ্ঠ। তিনি বারবার বলছেন, আমাদের জন্য সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। নাহলে ধোঁয়ায় আমরা মারা যাবো। বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে ভবনের পাশ ঘেঁষে থাকা পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে গড়িয়ে পড়েছেন।