ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মসজিদে হামলাকারী ট্যারেন্টের ফাঁসি চান তার বোন

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী সেই সন্ত্রাসী ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারেন্টের ফাঁসি চেয়েছেন তার চাচাতো বোন ডন্না কক্স।অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাসকারী এই নারী জানিয়েছেন, মসজিদে হামলাকারী ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলা চালিয়ে ট্যারেন্ট ৫০ জনকে হত্যা করেছে। এটি জানার পর থেকে মনে হচ্ছে তার আত্মীয় হওয়াটা দুর্ভাগ্যের।

ট্যারেন্টের বোন জানান, ট্যারেন্ট খুব ভালো পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মাকে কমিউনিটির সবাই খুব সম্মান করত। কিন্তু সেই সম্মান একেবারে নিচে নামিয়ে দিল ট্যারেন্ট।

গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলার চালায় ট্যারেন্ট। এতে বাংলাদেশিসহ অন্তত ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। বর্ণবাদী অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত এই হামলাকারী টুইটার একাউন্টে এই ভিডিও সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়।

নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করে সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে।

ব্যক্তিগতভাবে সে মুসলিম বিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রচণ্ড রকম অপছন্দ করে করে বলে তার ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।

হামলাকারী নিজেকে ‘শেতাঙ্গ’ বলে পরিচয় দিয়ে টেরেন্ট আরও বলে, সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাপোর্ট করে, কারণ ট্রাম্প শেতাঙ্গদের প্রতিনিধিত্ব করে।

নিজের পারিবারিক অবস্থা ও শৈশবের বেদনা উল্লেখ করে সে জানায়, আমি নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্মেছি, তার বাবা-মা স্কটিশ, আইরিশ এবং ইংলিশ ছিল, আমার কোন নিয়মিত শৈশব ছিল না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মসজিদে হামলাকারী ট্যারেন্টের ফাঁসি চান তার বোন

আপডেট টাইম : ০৩:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ   নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী সেই সন্ত্রাসী ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারেন্টের ফাঁসি চেয়েছেন তার চাচাতো বোন ডন্না কক্স।অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাসকারী এই নারী জানিয়েছেন, মসজিদে হামলাকারী ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলা চালিয়ে ট্যারেন্ট ৫০ জনকে হত্যা করেছে। এটি জানার পর থেকে মনে হচ্ছে তার আত্মীয় হওয়াটা দুর্ভাগ্যের।

ট্যারেন্টের বোন জানান, ট্যারেন্ট খুব ভালো পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মাকে কমিউনিটির সবাই খুব সম্মান করত। কিন্তু সেই সম্মান একেবারে নিচে নামিয়ে দিল ট্যারেন্ট।

গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলার চালায় ট্যারেন্ট। এতে বাংলাদেশিসহ অন্তত ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। বর্ণবাদী অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত এই হামলাকারী টুইটার একাউন্টে এই ভিডিও সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়।

নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করে সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে।

ব্যক্তিগতভাবে সে মুসলিম বিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রচণ্ড রকম অপছন্দ করে করে বলে তার ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।

হামলাকারী নিজেকে ‘শেতাঙ্গ’ বলে পরিচয় দিয়ে টেরেন্ট আরও বলে, সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাপোর্ট করে, কারণ ট্রাম্প শেতাঙ্গদের প্রতিনিধিত্ব করে।

নিজের পারিবারিক অবস্থা ও শৈশবের বেদনা উল্লেখ করে সে জানায়, আমি নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্মেছি, তার বাবা-মা স্কটিশ, আইরিশ এবং ইংলিশ ছিল, আমার কোন নিয়মিত শৈশব ছিল না।