আলোর জগত ডেস্ক : বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কয়েকটি প্যানেল। যেখানে রয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাম জোট, ছাত্র ফেডারেশন ও স্বতন্ত্র জোট। এসব সংগঠন এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল বামজোট, ছাত্র ফেডারেশন ও কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোট প্রত্যাখান করেন বামজোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী।
এসময় অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের প্রতিনিধিরাও এসময় মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত থেকে সমর্থন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিটন নন্দী বলেন, আমরা এই প্রহসন ও জালিয়াতির নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
লিটন নন্দী নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন, একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ বছর পর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন শুরু হয় সকাল ৮টায়। বেলা ২টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এতে ৪৩ হাজার ২৫৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মোট ভোটারের মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৯৪৪ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৩১২ জন।
ডাকসুতে ২৫ পদে নির্বাচন হচ্ছে। বিভিন্ন পদের মধ্যে আছে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে ৩টি। আরও আছে- সম্পাদকীয় ৯টি এবং ১৩টি সদস্যপদ। এসব পদের জন্য বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ২২৯ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ ভিপি ২১, জিএস ১৪ জন।
ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩টি প্যানেল। অন্যদিকে প্রত্যেক হল সংসদে ১৩টি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে তিনটি। আরও আছে সম্পাদকীয় ৬, সদস্য ৪টি। হল সংসদ (১৮টি হল, ২৩৪ পদে) প্রার্থী ৫০৯ জন। হল সংসদ ও ডাকসু মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৮টি করে ভোট দিতে হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ শেষ করতে রিটার্নিং অফিসারসহ (আরও) ৪২ জন কাজ করেন।