আলোর জগত ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ সকল প্রকার আলোচিত আইন বাতিল করা হবে। বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ইশতেহারে যা যা থাকছে
১. বিএনপি গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের চর্চার বিষয়ে পরিণত করবে
২. সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনবে
৩. একাধারে পরপর দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না করার বিধান করা হবে
৪. মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে
৫. বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেয়া হবে
৬. সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে
৭. বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে যুক্ত করে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৮. গণভোট ব্যবস্থা পূনপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে।
৯. বাংলা ভাষাসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষা শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
১০. স্বল্প সুদে শিক্ষা ঋণ চালু করা হবে।
১১. বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণে মেধাবীদের সাহায্য প্রদানে তহবিল গঠন করা হবে।
১২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া হবে।
১৩. মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
১৪. মসজিদের খতিবদের জন্য সম্মানজনক সম্মানি ভাতা চালু করা হবে।
১৫. প্রশ্নফাঁস বন্ধে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ
১৬. শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ভ্যাট বাতিল। ভ্যাট বিরোধী, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্রছাত্রীদের সকল মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
১৭. গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে।
১৮. পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।
১৯. প্রথম তিন বছরে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দুই লাখ মানুষকে চাকরি দেয়া হবে।
২০. তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে।
২১. আগামী ৫ বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে।
২২. শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। যোগ্য অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।