ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় শ্বশুরের দেয়া মামলা মোকদ্দমায় দিশেহারা একটি পরিবার

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় শ্বশুরের দেয়া মামলা একের পর এক মামলা-মোকদ্দমায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে ছফর উদ্দিনের মেয়ে রত্না বেগমের সাথে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ সালমান এর সাথে  বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র  সন্তানের জন্ম হয়।
সালমানের পরিবারের অভিযোগ, বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ের বাবা ছফর উদ্দিন সালমানকে ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব দেন। সালমান তার মানষিক প্রতিবন্ধি বাবা, বৃদ্ধা মা, ছোট বোন একমাত্র ভাইকে রেখে ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই একটি চক্রের পরামর্শে পরপর ৫টি মামলা দায়ের করেন শ্বশুর ছফর উদ্দিন। মামলাগুলোর মধ্যে ধর্ষন ও নারি শিশু নির্যাতন মামলায় ৩৯দিন হাজতবাস করেন সালমান। এর মধ্য ২টি মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বর্তমানে ধর্ষণ ও মোহরানার মামলা চলমান।
ফার্নিচারের দোকানে শ্রমিকের কাজ করে তার সামান্য আয় দিয়ে একদিকে মামলা পরিচালনা করা অন্যদিকে সংসারের খরচ বহন করতে গিয়ে  নুর মোহাম্মদ সালমানের পরিবার  হয়ে পড়েছেন
দিশেহারা।
এ ব্যাপারে নুর মোহাম্মদ সালমান জানান, আমি একটি কাঠ ফার্নিচারের দোকানে যোগালীর কাজ করি। ৩০০-৩৫০/- টাকা বেতন পাই। এই বেতনের টাকা দিয়ে আমি আমার অসহায় পরিবারের ভরণ- পোষন করি। অন্যদিকে আমার শ্বশুরের দেয়া প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ও আমার পরিবারের নামে  অন্যায় ভাবে ৫ টি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি মামলা  আদালতে মিথ্যা, প্রমানিত হয় দ্বিতীয়টি খারিজ হয়ে যায় তৃতীয়টি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে হাজির না হওয়ায় তাহাও খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে আমার নামে আদালতে দুটি মামলা চলমান। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন অন্যটি মোহরানার। এখন আমি আমার সামান্য আয় দ্বারা আমি আমার অসহায় পরিবারের ভরণ-পোষণ করবো নাকি শ্বশুরের দেয়া মিথ্যা মামলা চালাবো? কাজেই আমি আমার অসহায় পরিবারকে বাঁচাতে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় শ্বশুরের দেয়া মামলা মোকদ্দমায় দিশেহারা একটি পরিবার

আপডেট টাইম : ১০:৫০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর
ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় শ্বশুরের দেয়া মামলা একের পর এক মামলা-মোকদ্দমায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে ছফর উদ্দিনের মেয়ে রত্না বেগমের সাথে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ সালমান এর সাথে  বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র  সন্তানের জন্ম হয়।
সালমানের পরিবারের অভিযোগ, বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ের বাবা ছফর উদ্দিন সালমানকে ঘর জামাই থাকার প্রস্তাব দেন। সালমান তার মানষিক প্রতিবন্ধি বাবা, বৃদ্ধা মা, ছোট বোন একমাত্র ভাইকে রেখে ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই একটি চক্রের পরামর্শে পরপর ৫টি মামলা দায়ের করেন শ্বশুর ছফর উদ্দিন। মামলাগুলোর মধ্যে ধর্ষন ও নারি শিশু নির্যাতন মামলায় ৩৯দিন হাজতবাস করেন সালমান। এর মধ্য ২টি মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বর্তমানে ধর্ষণ ও মোহরানার মামলা চলমান।
ফার্নিচারের দোকানে শ্রমিকের কাজ করে তার সামান্য আয় দিয়ে একদিকে মামলা পরিচালনা করা অন্যদিকে সংসারের খরচ বহন করতে গিয়ে  নুর মোহাম্মদ সালমানের পরিবার  হয়ে পড়েছেন
দিশেহারা।
এ ব্যাপারে নুর মোহাম্মদ সালমান জানান, আমি একটি কাঠ ফার্নিচারের দোকানে যোগালীর কাজ করি। ৩০০-৩৫০/- টাকা বেতন পাই। এই বেতনের টাকা দিয়ে আমি আমার অসহায় পরিবারের ভরণ- পোষন করি। অন্যদিকে আমার শ্বশুরের দেয়া প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ও আমার পরিবারের নামে  অন্যায় ভাবে ৫ টি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি মামলা  আদালতে মিথ্যা, প্রমানিত হয় দ্বিতীয়টি খারিজ হয়ে যায় তৃতীয়টি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে হাজির না হওয়ায় তাহাও খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে আমার নামে আদালতে দুটি মামলা চলমান। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন অন্যটি মোহরানার। এখন আমি আমার সামান্য আয় দ্বারা আমি আমার অসহায় পরিবারের ভরণ-পোষণ করবো নাকি শ্বশুরের দেয়া মিথ্যা মামলা চালাবো? কাজেই আমি আমার অসহায় পরিবারকে বাঁচাতে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।