ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় দপ্তরির দ্বারা প্রধান শিক্ষিকা নির্যাতিত

মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার: স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিকাকে ওই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ্য প্রহরী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষিকার নাম নিলুফা খানম। তিনি উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মো. রকিব খান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে মারধরের শিকার শিক্ষিকা গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাগলা থানা পুলিশ ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারনে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়াক শীট’ শেষ হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে ফোন করে ওয়াক শীট নিয়ে যেতে বললে রকিব তা শোনেনি। পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়াক শীট সংহগ্রহ করেন। ওই সময় রকিব বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ের রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফার মাথার আঘাত করেন। এতে নিলুফা খানম আহত হন। বিকারল নিলুফা খানম গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। রকিব খান মুঠোফোনে বলেন, আমি তাঁকে (নিলুফা খামন) মারধর করিনি। অভিযোগ মিথ্যা । উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) সালমা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক নিলুফার খানম আমার অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাকে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি । তদন্তপূর্বক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার রকিবকে আটক করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় দপ্তরির দ্বারা প্রধান শিক্ষিকা নির্যাতিত

আপডেট টাইম : ০৮:১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার: স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিকাকে ওই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ্য প্রহরী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষিকার নাম নিলুফা খানম। তিনি উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মো. রকিব খান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে মারধরের শিকার শিক্ষিকা গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাগলা থানা পুলিশ ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারনে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়াক শীট’ শেষ হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে ফোন করে ওয়াক শীট নিয়ে যেতে বললে রকিব তা শোনেনি। পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়াক শীট সংহগ্রহ করেন। ওই সময় রকিব বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ের রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফার মাথার আঘাত করেন। এতে নিলুফা খানম আহত হন। বিকারল নিলুফা খানম গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। রকিব খান মুঠোফোনে বলেন, আমি তাঁকে (নিলুফা খামন) মারধর করিনি। অভিযোগ মিথ্যা । উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) সালমা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক নিলুফার খানম আমার অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাকে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি । তদন্তপূর্বক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার রকিবকে আটক করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।