ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

গফরগাঁওয়ে আমের ফলন না হওয়াতে দিশাহার আমচাষি

মোঃরমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার(ময়মনসিংহ) :  প্রতি বছর বৈশাখ মাস আসার আগেই কাল বৈশাখী ঝড়ের দেখা মিললেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরা ও পোকার কারণে আমের বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে  এদিকে  এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন  ৮ নং  গফরগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উথুরী গ্রামের প্রান্তিক আমের চাষী মুখলেসুর রহমান খোকা তিনি জানান
পোকার কারনে   ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।  আম  এই ভাবেই ঝরে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।  মোখলেছুর রহমান খোকা আরো জানান আমার এখানে অন্তত দেড়শত বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা রোপণ করা হয়েছে  আমি প্রতি বছর আমার এই আমের বাগান থেকে অন্তত ৫০ হাজার টাকার আম  বিক্রি করে লাভবান হতাম  কিন্তু এ বছরের  চিত্র ভিন্ন আমার  মনে হয় নাএবছর আমি ৫ হাজার টাকার আমও বিক্রি করতে পারব  আম নষ্ট হাওয়াই বিপাকে পড়ে গেছি  বেশ  কয়েকদিন যাবত  আমে পোকা ধরে চলতি মৌসুমের আমগুলো  নষ্ট হয়ে গিয়েছে । এদিকে আমার বুড়ো দানেরও অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে পাশাপাশি করোনা লকডাউন এর কারণে কামাই রোজগার কমে যাওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি কি করে আমার সংসার চালাবো ,, কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবার পোকার  কারণে  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আম চাষী । মুখলেসুর রহমান খোকা আরো বলেন গফরগাঁও ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারি রোশনারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করার পরে তিনি বলেন উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে ওনাকে সরোজমিনে নিয়ে আসব কিন্তু উপজেলার কোন কৃষি কর্মকর্তা তার এই আমের বাগান পরিদর্শন বা দেখতে যাননি এতে উথুরী গ্রামের আমচাষি মুখলেসুর রহমান খোকা খুব প্রকাশ করেন
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায়  প্রতিটি  আমগাছ খালি পরে রয়েছেন তার লিচু বাগানের লিচু এভাবেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে  তাছাড়া বিভিন্ন ফলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তিনি বলেন সরকার যদি আমাকে এই মুহূর্তে  কিছু সাহায্য সহযোগিতা করত আমি খুব উপকৃত হতাম, এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন আম কেন নষ্ট হল বা কেন ঝরে পড়ে গেল সত্যিই আমার কোন ধারণা নেই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

গফরগাঁওয়ে আমের ফলন না হওয়াতে দিশাহার আমচাষি

আপডেট টাইম : ০৩:২১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
মোঃরমিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার(ময়মনসিংহ) :  প্রতি বছর বৈশাখ মাস আসার আগেই কাল বৈশাখী ঝড়ের দেখা মিললেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরা ও পোকার কারণে আমের বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে  এদিকে  এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন  ৮ নং  গফরগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উথুরী গ্রামের প্রান্তিক আমের চাষী মুখলেসুর রহমান খোকা তিনি জানান
পোকার কারনে   ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।  আম  এই ভাবেই ঝরে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।  মোখলেছুর রহমান খোকা আরো জানান আমার এখানে অন্তত দেড়শত বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা রোপণ করা হয়েছে  আমি প্রতি বছর আমার এই আমের বাগান থেকে অন্তত ৫০ হাজার টাকার আম  বিক্রি করে লাভবান হতাম  কিন্তু এ বছরের  চিত্র ভিন্ন আমার  মনে হয় নাএবছর আমি ৫ হাজার টাকার আমও বিক্রি করতে পারব  আম নষ্ট হাওয়াই বিপাকে পড়ে গেছি  বেশ  কয়েকদিন যাবত  আমে পোকা ধরে চলতি মৌসুমের আমগুলো  নষ্ট হয়ে গিয়েছে । এদিকে আমার বুড়ো দানেরও অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে পাশাপাশি করোনা লকডাউন এর কারণে কামাই রোজগার কমে যাওয়ায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি কি করে আমার সংসার চালাবো ,, কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবার পোকার  কারণে  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আম চাষী । মুখলেসুর রহমান খোকা আরো বলেন গফরগাঁও ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারি রোশনারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করার পরে তিনি বলেন উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে ওনাকে সরোজমিনে নিয়ে আসব কিন্তু উপজেলার কোন কৃষি কর্মকর্তা তার এই আমের বাগান পরিদর্শন বা দেখতে যাননি এতে উথুরী গ্রামের আমচাষি মুখলেসুর রহমান খোকা খুব প্রকাশ করেন
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায়  প্রতিটি  আমগাছ খালি পরে রয়েছেন তার লিচু বাগানের লিচু এভাবেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে  তাছাড়া বিভিন্ন ফলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তিনি বলেন সরকার যদি আমাকে এই মুহূর্তে  কিছু সাহায্য সহযোগিতা করত আমি খুব উপকৃত হতাম, এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন আম কেন নষ্ট হল বা কেন ঝরে পড়ে গেল সত্যিই আমার কোন ধারণা নেই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না