আলোর জগত ডেস্ক: হাওরের নিভৃত পল্লী কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাই ও তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই। দুই দফা জানাজা শেষে রোববার সন্ধ্যায় মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইকে দাফন করা হয়। একইদিন দুপুর পৌনে ২টায় মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনের এমপি রাষ্ট্রপতি পুত্র রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া) আসনের এমপি নূর মোহাম্মদ, একই আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজলসহ বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই হাইয়ের কফিনে ফুল দিয়ে শেষবারের শ্রদ্ধা জানানো জানান।
এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বাড়ির উঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় অংশ নেন আবদুল হাইয়ের বড় ভাই রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এরআগে রোববার ২টা ১৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে আবদুল হাইয়ের মরদেহ ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে মিঠামইনে নেয়া হয়। এরপর তাকে গার্ড অব অনার ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করে অধ্যাপক আবদুল হাইয়ের কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। ৫ জুলাই তাকে ঢাকার সিএমএইচ এর আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় ভেন্টিলেশনে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভার্থী রেখে গেছেন।